জার্মানিতে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ ২ লাখ ছাড়িয়েছে

জার্মানিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ লাফিয়ে ‍বাড়ছে। যার ফলে নানা প্রতিষ্ঠানে দেখা দিয়েছে কর্মী সংকট। প্রথমবারের মত দেশটিতে দৈনিক কোভিড শনাক্ত দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

>>রয়টার্স
Published : 27 Jan 2022, 04:43 PM
Updated : 27 Jan 2022, 04:43 PM

সংক্রামক রোগ বিষয়ক রবার্ট কখ ইন্সটিটিউটের হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশটিতে দুই লাখ ৩ হাজার ১৩৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

তবে হাসপাতালগুলোতে এখনো রোগী উপচে পড়ছে না। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহে এ ধারায় পরিবর্তন না আসলে হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ‘ডিআইভিআই অ্যাসোসিয়েশন অব ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার ডক্টরস’ এর পরিচালক পর্ষদের সদস্য উই ইয়ানসেন্স।

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি দৈনিক শনাক্ত তিন লাখ ছাড়িয়ে যায়, তবে জার্মানির হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যায় সংকট দেখা দিতে পারে।

ওদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটাবাহ দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেছেন, মধ্য ফেব্রুয়ারিতে সেখানে দৈনিক শনাক্ত চার লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

জার্মানিতে প্রতিদিনই কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে সেখানকার বিভিন্ন কোম্পানি কর্মী সংকটে পড়ছে। রাষ্ট্রায়াত্ত এয়ারলাইন লুফৎহান্সার কার্গো আর্ম (মালামাল পরিবহন অংশ) থেকে বলা হয়, ফ্রাঙ্কফুর্টে তাদের প্রধান গুদামে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে।

ফলে বর্তমানে তারা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপ থেকে যাওয়া খুচরা মালামালের ফ্লাইটগুলো থেকে পণ্য খালাস করতে পারছে না। কর্মী সংকটের কারণে ফ্রাঙ্কফুর্টে ১৫ শতাংশ পণ্য খালাসে দেরি হচ্ছে।

লুফৎহান্সা কার্গোর পক্ষ থেকে রয়টার্সকে বলা হয়, ‘‘সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণের পরও এখন আমরা পরিষ্কারভাবে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারছি।”

তবে এয়ারলাইনটির ফ্লাইট পরিচালনা সূচি এখনও ঠিকঠাক আছে। তারা ফল ও সবজির মত পচনশীল পণ্য স্বচ্ছ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কার্গোতে করে পাঠাচ্ছে।

মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে লুফৎহান্সার প্রতিদ্বন্দ্বী ডিএইচএল অবশ্য বলেছে, ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং লিপৎজিগে তাদের কাজ নির্বিঘ্নেই চলছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জার্মানির হাসপাতালগুলোকেও কর্মী সংকটে পড়তে হয়েছে। এ সপ্তাহের শুরুতে জার্মান হসপিটালস ফেডারেশন থেকে বলা হয়, তাদের তিনচতুর্থাংশ হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ে চেয়ে বেশি কর্মী অসুস্থতাজনিত ছুটিতে আছেন।

জার্মানিতে কোভিড-১৯ এর টিকা বাধ্যতামূলক করা হবে কিনা তা নিয়ে বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে বিতর্ক হয়েছে। এদিকে, এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে বিক্ষোভকারীরা ওই দিন পার্লামেন্ট ভবনের সামনে জড় হয়েছিলেন।

চ্যান্সেলর ওলাফ স্লজ অবশ্য ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু তার জোট সরকার এই ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। তিনি দলের এমপিদের নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে বলেছেন।