গত ১৫ জানুয়ারি প্রশান্ত মহাসাগরে ডুবে থাকা হুঙ্গা-টোঙ্গা-হুঙ্গা হা’আপেই দ্বীপের আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট সুনামি দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গায় আছড়ে পরে।
সুনামিতে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দেশটির ৮৪ শতাংশ মানুষ সুনামি এবং আগ্নেয় ছাইয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
অগ্নুৎপাতের ফলে টোঙ্গার রাজধানী নুকু’আলোফার উত্তরে একটি আগ্নেয় দ্বীপ ‘বিলীন’ হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে নাসা।
হুঙ্গা-টোঙ্গা-হুঙ্গা হা’আপেই নামের ওই আগ্নেয় দ্বীপটি আগে দুইটি আলাদা দ্বীপ ছিল। ২০১৫ সালে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে মাঝে নতুন ভূমির সৃষ্টি হয়ে দ্বীপ দুটি এক হয়ে যায়।
নাসা জানায়, এবারের উদগীরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ২০১৫ সালে তৈরি হওয়া নতুন দ্বীপটি আগের দুই দ্বীপের ‘বিশাল অংশ’ নিয়ে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া, যে পরিমাণ ছাই, গ্যাস ও অন্যান্য বস্তু জ্বালামুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছে, সেগুলো পরিষ্কার করতে টোঙ্গাকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
উদগীরণ এবং সুনামিতে বিস্তৃত এলাকা পুরু থকথকে ছাইয়ের চাদরে ঢেকে গেছে। এরই মধ্যে সেখানে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। ডাইরিয়া ও কলেরার মত পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যদিও কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে বলেছেন, মাটির নীচ থেকে তোলা পানি এবং বৃষ্টির পানি পান করার জন্য নিরাপদ।