টেক্সাসের সিনাগগে জিম্মিকারী ব্রিটিশ নাগরিক

যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাসের ডালাসে শহরতলীর একটি ইহুদি উপাসনালয়ে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলা জিম্মি কাণ্ডের হোতা একজন ব্রিটিশ নাগরিক বলে জানানো হয়েছে খবরে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2022, 03:09 PM
Updated : 16 Jan 2022, 03:09 PM

শনিবার কোলিভিলের ওই উপাসনালে সকালের প্রার্থনা চলাকালে এক ব্যক্তি চারজনকে জিম্মি করেন; ১০ ঘণ্টার উত্তেজনা-নাটকীয়তা শেষে জিম্মিরা অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। তবে জিম্মিকারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এই জিম্মিকারী ব্যক্তি একজন ব্রিটিশ নাগরিক বলে জানিয়েছে ‍যুক্তরাজ্য সরকারের ‘ফরেইন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’।

অফিসের একজন মুখপাত্র ফক্স নিউজ ডিজিটালে ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, “টেক্সাসে একজন ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।”

বিষয়টি বিস্তারিত জানতে ফক্স নিউজ ডিজিটাল মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর, বিচারবিভাগ, গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর ডালাস ডিভিশন এবং কোলিভিলের পুলিশ বিভাগের সঙ্গে রোববার সকালেই যোগাযোগ করেছে।

ব্রিটিশ ওই নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে ঢুকলেন, কেমন করে মারা গেলেন, তিনি কে ছিলেন বা তার অপরাধের কোনও ইতিহাস ছিল কিনা তার কোনওকিছুই এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।

সিনাগগে যে চারজনকে জিম্মি করা হয়েছিল তাদের মধ্যে উপাসনালয়ের ধর্মগুরুও (রাবাই) ছিলেন। জিম্মি করার ৬ ঘণ্টা পর একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তারও কয়েকঘণ্টা পর বাকি তিনজনের মুক্তি মেলে।

বিবিসি জানায়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে কংগ্রেগেসন বেথ ইসরায়েল সিনাগগে জিম্মি সংকটের সূচনা হওয়ার পরপরই খবর পায় পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে ওই এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ফেইসবুকে সরাসরি সম্প্রচারিত ওই প্রার্থনার মধ্যে এক ব্যক্তির জোরে বলা কথা শুনতে পাওয়া যায়। তাকে ‘ফোনে আমার বোনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দাও’ এবং ‘আমি মারা যাবো’ বলতে শোনা যায়।

“আমেরিকার কিছু ভুল আছে,” বলছিলেন ওই ব্যক্তি। পরে ফেইসবুকের ওই ফিড বন্ধ করে দেওয়া হয়। জিম্মিকারী আফিয়া সিদ্দিকি নামে পাকিস্তানি এক নিউরোসায়েন্টিস্টের মুক্তিও দাবি করেছিলেন বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যম।

আফগানিস্তানে নিরাপত্তা হেফাজতে থাকাকালে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যাচেষ্টায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৮৬ বছরের সাজা পাওয়া আফিয়া এখন যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দি বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আফিয়া ওই জিম্মিকারীর বোন বলে কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম ইঙ্গিত দিলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।