ইউক্রেইন: ডনবাস যুদ্ধ পরিস্থিতিকে 'গণহত্যা'র সঙ্গে তুলনা করলেন পুতিন

ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2021, 02:24 PM
Updated : 10 Dec 2021, 02:24 PM

পূর্ব ইউক্রেইনের ওই অঞ্চলে ২০১৪ সাল থেকেই রাশিয়া-সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেইনের সরকারি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছে।

সম্প্রতি ইউক্রেইন সীমান্তে রাশিয়া সেনা সমাবেশ ঘটানোয় উত্তেজনা আরও বাড়ছে।

পূর্ব ইউক্রেইনের রুশ-ভাষী জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাস করে ডনবাস অঞ্চলে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে পুতিন ওই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

পুতিন বলেন, “রুশোফোবিয়া হচ্ছে গণহত্যার পথে প্রথম পদক্ষেপ। ডনবাসে কী ঘটছে তা আমরা দেখছি এবং জানি। এটি নিশ্চয়ই গণহত্যা সদৃশ।"

তবে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি এ মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, “রাশিয়া তাদের উত্তেজনাকর কথাবার্তা এবং ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানোর জন্য সুপরিচিত।”

রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯০,০০০ সেনা সমাবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের এই সেনা সমাবেশ ইতোমধ্যেই চাপে থাকা রুশ-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে।

ডনবাস অঞ্চলের কাছেও রাশিয়া সেনা সমাবেশ ঘটাচ্ছে। গত সাত বছর ধরে ইউক্রেইনের পূবদিকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে আছে রাশিয়া-সমর্থিত সেনারা এবং সেখানে সংঘাতে এ পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

ইউক্রেইন সীমান্তে বিপুলসংখ্যক রুশ সেনা সমাবেশের ফলে রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসনের পরিকল্পনা করছে বলে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও রাশিয়া এমন আশঙ্কা নাকচ করেছে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেরকম কিছু হলে রাশিয়ার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভিডিও কলে বৈঠক করে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করেন।

সেই বৈঠকেই রাশিয়াকে প্রতিবেশী দেশে আক্রমণ চালালে শাস্তিস্বরূপ নিষেধাজ্ঞা আরোপের হঁশিয়ারি দেন বাইডেন।

রাশিয়া ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ করে বলেছে, নেটো জোটকে পূর্বদিকে সম্প্রসারণ করা এবং রাশিয়ার কাছাকাছি কোনওরকম অস্ত্র মোতায়েনের চেষ্টা বন্ধ করা হবে- সেই নিশ্চয়তা চায় তারা।

ওদিকে, ইউক্রেইন কর্তৃপক্ষ বলছে, মস্কো হয়ত জানুয়ারির শেষেই সামরিক আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।