রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালানো থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিবৃত্ত করতে রাশিয়ার ওপর একগাদা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

>>রয়টার্স
Published : 7 Dec 2021, 01:27 PM
Updated : 7 Dec 2021, 01:27 PM

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা একথা বলেছেন। মঙ্গলবার পুতিনের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স কলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

পুতিনকে কনফারেন্স কলে বাইডেন বলবেন, ইউক্রেইনে আগ্রাসন চললে রাশিয়া এ যাবৎকালের কঠোরতম নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হবে।

এই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংকগুলোসহ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ মহল এবং রাশিয়ার জ্বালানি উৎপাদকরা। ইউক্রেইনে হামলা চালানোর জন্য দেশটির সীমান্তের কাছে হাজার হাজার রুশ সেনা মোতায়েন করা থেকে পুতিনকে নিরস্ত করাই এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য।

ক্রেমলিন অবশ্য এমন অভিপ্রায়ের কথা বরাবরই অস্বীকার করে বলে এসেছে, কেবলমাত্র প্রতিরক্ষার জন্যই ইউক্রেইন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। রাশিয়া-সমর্থিত বিদ্রোহীদের দখল করা অঞ্চল কিয়েভ আবার পুনর্দখলের চেষ্টায় যাতে সামরিক শক্তি ব্যবহার না করে সেই নিশ্চয়তাই মস্কো চায় বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন।

ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়া আগ্রাসন চালালে তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে শাস্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বাইডেনের টিম।

সোমবার এই কর্মকর্তা বলেন, “পুতিন ইউক্রেইনে সামরিক ব্যবস্থার পথে এগুলে যুক্তরাষ্ট্র কার্যকর অর্র্থনৈতিক পাল্টা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত, যাতে রাশিয়ার অর্থনীতির বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করা যায়।”

তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, এই নতুন নিষেধাজ্ঞা কখন আরোপ করা হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বাইডেন প্রশাসন  তাদের ইউরোপীয় মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে।

গত জুলাইয়ের পর থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এবারই প্রথম সরাসরি কথা বলতে চলেছেন বাইডেন। তার আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে সোমবার ইউরোপীয় মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাইডেন।

এর মধ্য দিয়ে তিনি ইউক্রেইনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের পক্ষে মিত্রদেশগুলোর বলিষ্ঠ সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গেও বাইডেন কথা বলেছেন।

তারা সবাই রাশিয়াকে ইউক্রেইনের সঙ্গে উত্তেজনা কমানো এবং কূটনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।