প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদককে তার নিজ নিরাপত্তার স্বার্থে জেনারেলের ব্যক্তিগত বাসভবনে রাখা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই হামদককে বাড়ি পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন বুরহান।
সুদানের রাজধানী খার্তুম মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো অভ্যুত্থান বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল থাকার মধ্যে জেনারেল বুরহান এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের কারণ জানিয়ে এসব কথা বললেন।
সুদানে সোমবার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর শুরু হওয়া অস্থিরতায় এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল বুরহান বলেন, “আমরা গত সপ্তাহে যে বিপদ দেখেছিলাম তাতে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যেতে পারত।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তার বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু আমাদের ভয় ছিল যে, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তাই তিনি এখন আমার বাড়িতে আমার সঙ্গে আছেন।”
গতরাতে হামদকের সঙ্গেই ছিলেন জানিয়ে বুরহান বলেন, “সংকট কেটে গেলে এবং হুমকি সব দূর হয়ে গেলে তিনি (হামদক) বাড়ি ফিরে যাবেন।”
সরকার ভেঙে দেওয়া, রাজনৈতিক নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করা এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছিল।
জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান সুদানের সার্বভৌম কাউন্সিলের প্রধান। সামরিক ও বেসামরিক নেতাদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির যৌথ কাউন্সিল এটি।
দেশের ক্ষমতা দখলের জন্য বুরহান এর আগে রাজনৈতিক কোন্দলকে দায়ী করে টিভিতে এক ভাষণে বলেছিলেন, রাজনীতিবিদদের মধ্যে কোন্দল, উচ্চাকাঙ্খা এবং সহিংসতায় উস্কানির কারণে তাকে বাধ্য হয়ে দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।
কিন্তু সুদানের রাস্তায় রাস্তায় ‘সামরিক শাসন চাই না’ আওয়াজ উঠেছে। অভ্যুত্থানের নিন্দা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। সুদান এবং দক্ষিণ সুদানে যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূত অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইইউ, আরব লিগ এবং আফ্রিকান ইউনিয়নও সুদানে আটক প্রধানমন্ত্রী হামদকসহ তার মন্ত্রিসভার গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে।