শনিবার সহিংসতা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের পর রোববারও সহিংস বিক্ষোভ দেখা গেছে। জোহানেসবার্গের রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করেছে। বন্ধ হয়ে গেছে মহাসড়ক।
গত সপ্তাহে ১৫ মাসের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়ার পর গ্রেপ্তার এড়াতে পুলিশের কাছে ধরা দেন জ্যাকব জুমা। পরে তাকে জেলে পাঠানো হয়। এরপর মূলত জুমার নিজ প্রদেশ কাওয়াজুলু নাটাল প্রদেশে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। পরে তা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাওয়াজুলু নাটাল (কেজেডএন) এবং গুয়েটাঙ প্রদেশে সহিংসতার শুরু থেকে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জোহানেসবার্গ মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ (জেএমপিডি) বলেছেন, শনিবার রাতে অ্যালেক্সান্দ্রিয়া শহরে এবং জেপেস্টাউন শহরতলীতে লুটপাট হয়েছে। রাস্তায় চলমান গাড়ির ওপর গুলি ছোড়া হচ্ছে এমন খবর আসার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মহাসড়ক।
রয়টার্সের এক টিভি সাংবাদিক সারি সারি বিক্ষোভকারীকে লাঠি, গল্ফ ছড়ি এমনকী গাছের ডাল নিয়ে জোহানেসবার্গের রাস্তায় ঘুরতে দেখার কথা জানিয়েছেন। ক্ষুব্ধ এই বিক্ষোভকারীরা রাস্তার ধারের দোকানপাটের জানালা ভাঙচুর করেছে এবং লুটপাট চালিয়েছে।
জুমা গত বুধবার থেকে কাওয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের কারাবাস শুরু করেছেন। এর আগে আদালত অবমাননার দায়ে গত মাসের শেষ দিকে তার কারাদণ্ড হয়। আদালতের রায় ঘোষণার পরই এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তার সমর্থকরা।
২০১৮ সাল পর্যন্ত তার নয় বছরের শাসনামলে হওয়া দুর্নীতি নিয়ে চলা তদন্তে প্রামাণিক তথ্য দেওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারিতে জুমাকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সে নির্দেশ না মানায় জুমাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ক্ষমতায় থাকাকালে জুমা ভারতীয় বংশোদ্ভুত তিন ব্যবসায়ী অতুল, অজয় ও রাজেশ গুপ্তাকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন ও সরকারি নীতি লঙ্ঘন করে ব্যবসা করার সুযোগ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে করা দুই বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তি সংক্রান্ত পৃথক আরেকটি মামলাও আছে জুমার বিরুদ্ধে।
কিন্তু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলে এসেছেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার এবং জোনডো কমিশন তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে।