আগামী শুক্রবার হোয়াইট হাউজে এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে বাইডেনের দপ্তর।
দেশজুড়ে আফগান বাহিনী এবং তালেবানের লড়াই বাড়তে থাকার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা করতে এই বৈঠক হচ্ছে।
এবছর জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর আফগান নেতাদের সঙ্গে এটিই হবে বাইডেনের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলেছে, গনি এবং আবদুল্লাহকে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তাসহ আফগান জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিষয়টিতে আবার আশ্বস্ত করবেন বাইডেন।
দেশটি যেন আবার সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর নিরাপদ স্বর্গ না হয় সে ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন বাইডেন।
“আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের এ সময়ে প্রেসিডেন্ট গনি এবং আবদুল্লাহর এই যুক্তরাষ্ট্র সফর দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী অংশীদারিত্বকেই সামনে নিয়ে আসবে”, বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
গত এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে বাইডেন ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
ওই ঘোষণা অনুযায়ী ইতোমধ্যেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আর এ প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই আফগানিস্তানে অন্তত ৩০ টি জেলা তালেবানের দখলে চলে গেছে।
মার্কিন সেনারা চলে যেতে থাকায় তালেবান জঙ্গিরা আফগানিস্তানজুড়ে তাদের প্রভাব জোরদার করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তালেবান বলছে, আফগান প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর কোনও কাজেই আসবে না।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, “তারা (গনি ও আবদুল্লাহ) যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তাদের নিজেদের ক্ষমতা ও ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য। এতে আফগানিস্তানের কোনও উপকার হবে না।”
এ ব্যাপারে আফগান প্রেসিডেন্ট গনির কার্যালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে এক ঊর্ধ্বতন আফগান কর্মকর্তা বলেছেন, আফগান প্রেসিডেন্ট মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকার নিশ্চয়তা পাওয়ার চেষ্টা করবেন।