ইয়াংগনে জাপানি দূতাবাসের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছেন। ইউকি কিতাজুমিকে গত ১৯ এপ্রিল তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সেনাসদস্যরা।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর কিতাজুমিই প্রথম কোনও বিদেশি সাংবাদিক যার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হল।
কিতাজুমি বর্তমানে ইয়াংগনের ইনসেইন কারাগারে বন্দি। তার বিরুদ্ধে সেকশন ৫০৫ এর ‘এ’ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই ধারায় কারও মন্তব্য যেটি আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে বা ভুয়া খবর ছড়াতে পারে তা অপরাধ বলে গণ্য করা হয় এবং দোষীসাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপানের দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, কিতাজুমির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সে বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদের বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হতে হয়েছে।
কিতাজুমির ফেইসবুক পেজ ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, মিয়ানমারে ‘ইয়াঙ্গুন মিডিয়া প্রফেশনালস’ নামে একটি মিডিয়া প্রডাকশন কোম্পানি চালান তিনি। সেইসঙ্গে নিক্কেই বিজনেস দৈনিকের একজন সাংবাদিক হিসেবেও কিতাজুমি কাজ করেন।
মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে কিতাজুমি একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেবার গ্রেপ্তারের পরপরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জাপান সরকার এবং জাপানের সাংবাদিকরা কিতাজুমিরে মুক্তি দাবি করেছে।