কিরগিজ-তাজিক সীমান্ত সংঘর্ষ: ছবিতে ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা

কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের বিতর্কিত সীমান্তে ক’দিন আগেই ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। কর্মকর্তারা বলছেন, আরও শত শত মানুষ আহত হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে কয়েকডজন বাড়িঘর।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2021, 06:03 PM
Updated : 2 May 2021, 06:31 PM

স্কুল, দোকান, সীমান্তের চেকপয়েন্ট এবং পুলিশ স্টেশনসহ ১শ’ রও বেশি স্থাপনা পুড়ে গেছে কিংবা গুঁড়িয়ে গেছে বলে রোববার জানিয়েছে কিরগিজস্তানের জরুরি মন্ত্রণালয়।

একটি জলাশয়কে কেন্দ্র করে বিরোধে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের বিতর্কিত সীমান্তে গত সপ্তাহে বুধবার প্রাণঘাতী সংঘর্ষ হয়। কিরগিজস্তানের বিতর্কিত বাতকেন অঞ্চলকে ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

জলাশয়ে নজরদারি ক্যামেরা বসানো নিয়ে দুই পক্ষের মানুষ একে অপরের দিকে পাথর ছুড়ে মারতে শুরু করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ১০ হাজার মানুষকে।

দুইপক্ষ পরে অস্ত্রবিরতি এবং সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হলেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিতে দেখা গেছে, কিছু ভবন আগুন পুড়ে গেছে।

দুইপক্ষের ওই সংঘর্ষে কিরগিজস্তানের গ্রামগুলোতে কতটা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে তার কিছু ছবি তুলে ধরেছে বিবিসি। দেখা গেছে, পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া বাড়িঘর, ভেঙে যাওয়া ছাদ, গুঁড়িয়ে যাওয়া বেশকিছু ভবন।

কিরগিজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, সংঘর্ষের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তারা তদন্ত শুরু করেছে। এর আওতায় তারা হত্যা এবং অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে।

বিবিসি জানায়, গত শুক্রবার দুপক্ষে যুদ্ধবিরতি হলেও কয়েকটি গ্রামে সহিংসতা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষ আরেকটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। রোববার এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান। তখন থেকেই দুই দেশের মধ্য সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়ে আসছে।