দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে আগামী শুক্রবার থেকে টিকাদান কর্মসূচী শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রোববার টিকার প্রথম চালানা চলে আসায় এখন বুধবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এক বছরের মধ্যে দেশের তিন কোটি ২০ লাখ লোকের অন্তত ৮০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার লক্ষ নিয়েছে মালয়েশিয়া
করোনাভাইরাসজনিত বিধিনিষেধের কারণে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ২০২০ সালে দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর মন্দার রেকর্ড করেছে। দেশটির সরকার অর্থনীতি আবার পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ঢেউ শুরু হওয়ার পর চলতি বছর আরও লকডাউন জারি করেছে মালয়েশিয়া। মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি দুই লাখ ৮০ হাজার ২৭২টি সংক্রমণের ঘটনা এবং এক হাজার ৫১ জনের মৃত্যু তালিকাভুক্ত করেছে।
রোববার স্থানীয় সময় সকালে দেশটিতে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার মোট তিন লাখ ১২ হাজার ৩৯০টি ডোজ পৌঁছেছে। আসছে সপ্তাহগুলোতে আরও টিকা এসে পৌঁছবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মলনে দেশটির বিজ্ঞানমন্ত্রী খাইরি জামালউদ্দিন বলেছেন, “২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী চালান পাঠানো হবে, এরপর থেকে প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর আমরা (ফাইজারের) চালান গ্রহণ করতে থাকবো, সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলবে।”
ফাইজার-বায়োএনটেক থেকে তিন কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা নিচ্ছে মালয়েশিয়া।
চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেকের টিকার প্রথম চালান সূচী অনুযায়ী ২৭ ফেব্রুয়ারি পৌঁছার কথা রয়েছে। টিকাটি দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে খাইরি জানিয়েছেন।
পূর্ব নির্ধারিত সময়ের আগেই বুধবার জাতীয় টিকাদান কর্মসূচী শুরু হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী মুহিইদ্দিন ইয়াসিন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক নুর হিশাম আব্দুল্লাহ প্রথম টিকা নেবেন বলে খাইরি জানিয়েছেন।