বিজয় ভাষণে ‘ঐক্যের’ ডাক বাইডেনের

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রথম ভাষণে জো বাইডেন বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘আত্মা’কে ফিরিয়ে আনতে চান, দেশকে ‘বিভক্ত না করে ঐক্যবদ্ধ’ করতে চান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2020, 04:03 AM
Updated : 8 Nov 2020, 06:15 AM

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ডেলাওয়ার রাজ্যের উইলমিংটনে নিজের নির্বাচনী প্রচার সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সারিয়ে তোলার’ সময়।

ভোটের মাঠে তুমুল লড়াই আর অনেক তিক্ততার পর ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য পেনসিলভেইনিয়ায় জয়ের মধ্য দিয়ে শনিবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের ২৭৩টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত হয়।

আর তাতেই ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে বাইডেনের হোয়াইট হাউজে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়।

কয়েক ঘণ্টা পর উইলমিংটনে উৎসবমুখর সমর্থকদের সামনে ভাষণ দিতে এসে বাইডেন বলেন, “আমি এমন একজন প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যিনি বিভক্ত নয়, ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করবেন; যিনি লাল রাজ্য বা নীল রাজ্য দেখবেন না, শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে দেখবেন।

“আমি চেয়েছিলাম আমেরিকার আত্মাকে ফিরিয়ে আনতে, এই জাতির মেরুদণ্ড মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে পুনর্গঠন করতে এবং আমেরিকার প্রতি ফের পুরো বিশ্বের শ্রদ্ধা ফিরিয়ে আনতে, এখানে বাড়িতে আমাদের মধ্যে একতা ফিরিয়ে আনতে।”

নির্বাচনে যারা তাকে ভোট দেননি তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এখন কর্কশ রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর দূরে ঠেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সময়, আবার একে অপরের দিকে তাকান, ফের একে অপরের কথা শোনেন আর এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রতিপক্ষকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা বন্ধ করুন।”

নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট জানান, জানুয়ারিতে তার অভিষেকের দিন থেকেই যেন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যায় তা নিশ্চিত করতে তিনি তার করোনাভাইরাস রেসপন্স কমিটি গঠন করে রাখবেন। 

কোভিড-১৯ মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়েই এ সংখ্যাটি অনেক বেশি। জো বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারে এ ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার ওপর ব্যাপক জোর দেওয়া হয়েছিল।    

৭৭ বছর বয়সী জো বাইডেন এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ডেলাওয়ারের সবচেয়ে বেশি সময়ের সেনেটর তিনি।

বাইডেনের জয়ের খবর যখন প্রকাশ হচ্ছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তখন ছিলেন ভার্জিনিয়ার স্টার্লিংয়ে গলফ কোর্সে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ভোটের হার দেখেই বিজিত প্রার্থী হার স্বীকার করে নেন, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও তা করেননি, বরং তিনি মামলা করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

১৯৯০ দশকের পর ট্রাম্পই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট, যাকে এক মেয়াদ দায়িত্ব পালন শেষে হোয়াইট হাউজ ছাড়তে হচ্ছে।