তিন হাজারেরও বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞর ওপর চালানো এক জরিপে শুক্রবার এ তথ্য উঠে এসেছে।
রাশিয়া বলেছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রথম টিকার প্রয়োগ শুরু হবে চলতি মাসের শেষ দিক থেকেই। প্রথমে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে চিকিৎসকদেরকে এই টিকা দেওয়া হবে।
কিন্তু টিকাটির তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত পরীক্ষা এখনও শেষ হয়নি। রাশিয়া তার আগেই টিকার অনুমোদন দিয়ে এর নাম রেখেছে স্নায়ুযুদ্ধ যুগে মহাকাশ জয়ের সেই সোভিয়েত কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুৎনিক এর নামে।
ফলে বিজ্ঞানীরা বলছেন,সত্যিকারের বিজ্ঞান এবং নিরাপত্তার দিকটির চেয়ে রাশিয়া খুব সম্ভবত জাতীয় মান-মর্যাদাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে ‘ডক্টরস হ্যান্ডবুক’ মোবাইল অ্যাপে রাশিয়ার ৩ হাজার ৪০ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞর ওপর টিকাটি নিয়ে জরিপ চালানো হয়েছে।
শুক্রবার আরবিসি ডেইলি জানায়, জরিপের ফলে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের ৫২ শতাংশই এই টিকা নিতে প্রস্তুত নন। আর টিকাটি নিতে রাজি মাত্র ২৪.৫ শতাংশ।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মাত্র এক পঞ্চমাংশ বলেছেন, তারা রোগী, সহকর্মী এবং বন্ধু-বান্ধবদেরকে টিকাটি নেওয়ার জন্য সুপারিশ করবেন।
টিকা নিয়ে চিকিৎসক মহলের মতো এমন সন্দেহ প্রকাশ করেন কিছু রুশ নাগরিকও। তারা এ টিকা নিতে খুবই ভয় পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। আবার অনেকেই রাশিয়ার সরকারের সঙ্গে একমত যে, বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ইর্ষান্বিত হয়ে টিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার কোভিড-১৯ টিকা অনুমোদনের ঘোষণা গত ১১ অগাস্টে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, যা যা দেখা দরকার ছিল, এ টিকার ক্ষেত্রে ‘তার সবই’ করা হয়েছে। এ টিকা যে খুব ভালো কাজ করে তাও তিনি জানেন।