বিশ্ব পরিস্থিতির অবনতি, মহামারীর শেষ হতে ‘আরও অনেক বাকি’

বিশ্বে এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্তের মধ্য দিয়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতির চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে; মধ্য আমেরিকায় সংক্রমণ এখনও সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেনি বলেও হুঁশিয়ার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2020, 05:09 AM
Updated : 9 June 2020, 05:51 AM

এ পরিস্থিতিতে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জোর চেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এই সংস্থা।

সোমবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচওর মহা পরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, “ছয় মাসের বেশি সময় ধরে আমরা মহামারীর মধ্যে, কোনো দেশেই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শিথিল করার সময় এখনও হয়নি।”

রোববার বিশ্বজুড়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত একদিনে শনাক্তের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।

এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০টি দেশে, যাদের অধিকাংশই দুই আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. মাইক রায়ান জানান, গুয়াতেমালাসহ মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সেখানে মহামারী পরিস্থিতি ‘জটিল’ হয়ে উঠেছে।

“আমার মনে হয়, এ সময়টা খুবই উদ্বেগজনক,” বলেন তিনি।

পরিস্থিতি সামলাতে ওই এলাকার সরকারগুলোর দৃঢ় নেতৃত্বের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমর্থনেরও আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্বে শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৭০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখের বেশি মানুষের।

ডব্লিউএইচও -এর এপিডিমিওলজিস্ট মারিয়া ফন কেরকোভে বলেন, এই মহামারীর শেষ হতে ‘আরও অনেক বাকি’।

সিঙ্গাপুরে এখন যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের অর্ধেকেরই কোনো উপসর্গ থাকছে না বলে সোমাবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন দেশটির ভাইরাস টাস্কফোর্সের একজন কর্মকর্তা। এ কারণে নগর-রাষ্ট্রটির সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ খুবই ধীরে শিথিল করছে।

আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অনেক দেশ উপসর্গহীন বাহকদের শনাক্ত করছে। তবে এ ধরনের ‘অ্যাসিম্পটমেটিক ক্যারিয়ার’ যারা, তারা ভাইরাস আরও বেশি ছড়িয়ে দেওয়ার কারণ হচ্ছে- এমনটি দেখা যায়নি বলেন জানান কেরকোভে ।