২৫ মে মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তারকালে তাকে রাস্তায় ফেলে ঘাড়ে হাঁটু তুলে দিয়ে প্রায় নয় মিনিট ধরে রাস্তার সঙ্গে চেপে ধরে রাখেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা। ‘আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না’ ফ্লয়েড বারবার এমনটি বললেও তাকে কোনো সুযোগ দেননি ওই কর্মকর্তা। এ ঘটনার পর অচেতন ফ্লয়েডকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
বিবিসি লিখেছে, তারপর থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ চলছে, কিন্তু শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘যে কোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বড়’ সমাবেশ হতে পারে বলে বিশ্বাস শহরটির পুলিশ প্রধানের।
রাজধানীর এই প্রতিবাদ সমাবেশে ১০ লাখ লোককে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কিছু আন্দোলনকারী।
মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের প্রধান পিটার নিউশাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের বহু লোক। বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে শনিবার সম্ভবত এই শহরে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় (সমাবেশ) হতে যাচ্ছে।”
তবে কতো লোক হতে পারে তার কোনো হিসাব তিনি দেননি, সে ধারণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মন্ত্রী রায়ান ম্যাকার্থি; তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের ধারণা সমাবেশে এক থেকে ২ লাখ লোক উপস্থিত হতে পারে।
শুক্রবার ওয়াশিংটনের ডিসির মেয়র মিউরিয়েল বাউজার শহরটির রাস্তা থেকে সব ফেডারেল আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল গার্ডের সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট প্রতিবাদ নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া পদক্ষেপকে ঘিরে তার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন এই মেয়র।
ফেডারেল আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল গার্ডের সেনাদের উপস্থিতি ‘অপ্রয়োজনীয়’ এবং ‘প্রতিবাদকারীদের শান্তিপূর্ণ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি বিপরীত ফল বয়ে আনতে পারে’ বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন বাউজার।
তিনি হোয়াইট হাউস বরাবর রাস্তার নাম পরিবর্তন করে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার প্লাজা’ নামকরণ করেছেন। গত সোমবার স্থানীয় একটি গির্জায় ট্রাম্পের সফরের আগে এই রাস্তায় অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সরাতে স্মোক গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল ফেডারেল আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তারা।
নাম পরিবর্তনের পর রাস্তাটির বুকে বড় করে হলুদ রঙে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ কথাটি অঙ্কিত করে দিয়েছেন ওয়াশিংটন ডিসির সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা।