চালু হচ্ছে বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য, খুলছে দোকানপাট, ক্যাফে, পার্ক। পরিবার-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করার ওপর থেকে উঠছে নিষেধাজ্ঞা।
চতুর্থ মাত্রা থেকে লকডাউন নামিয়ে আনা হচ্ছে দ্বিতীয় মাত্রায়। এ স্তরকে বলা হচ্ছে, ‘আরো নিরাপদ নতুন স্বাভাবিক’ অবস্থা। এর আগে এপ্রিলে নিউ জিল্যান্ড লকডাউনের মাত্রা চার থেকে তিন-এ নামিয়ে এনেছিল।
সংক্রমণ কমে আসায় দেশটিতে লকডাউনের মাত্রাও কমছে। গত তিন দিনে নতুন কোনো কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়েনি নিউ জিল্যান্ডে। গণসংক্রমণের আশঙ্কাও এখন অনেকটাই কমে এসেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার লকডাউন ওঠার প্রথম প্রহরেই ক্রাইস্টচার্চে নাপিতের দোকানগুলোতে চুল কাটতে দেখা গেছে লোকজনকে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে জিমগুলোও।
দেশজুড়ে বিভিন্নস্থানে শপিংমলগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে। শুরু হচ্ছে খেলাধূলাও। ১০ জন মানুষের জমায়েতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে, নিউ জিল্যান্ডে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৭ এবং মারা গেছে ২১ জন। আর মাত্র ৯০ জনেরও কম মানুষ এখনো অসুস্থ।
এপিলে লকডাউন শিথিল করার সময়ই দেশটিতে কিছু কিছু খাবারের দোকান খোলাসহ কম গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যবসা চালু করা হয়েছিল। এবার খুলে দেওয়া হয়েছে অফিস-আদালতও।
তবে ভাইরাস সংক্রমণ যাতে আবার ফিরে না আসে সেজন্য যেসব জায়গায় বাড়ি থেকে কাজ করা সম্ভব সেখানে মানুষজনকে বাসা থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
স্কুলগুলো চালু করা হচ্ছে সোমবার থেকে। বারগুলো চালু হচ্ছে ২১ মে থেকে। তবে নতুন এই শিথিল অবস্থার মধ্যেও সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা কঠোরভাবে মেনে চলার নিয়মগুলো বহালই রাখা হচ্ছে।