জার্মানিতে মহামারীর প্রথম পর্যায় শেষ: মের্কেল

জার্মানিতে করোনাভাইরাস মহামারীর প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে জানিয়ে আরো কিছু বিধি শিথিলের পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল।

>>রয়টার্স
Published : 6 May 2020, 04:55 PM
Updated : 7 May 2020, 05:07 AM

বুধবার এক ভিডিও কনফারেন্সে ম্যার্কেল এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, জার্মানি করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমানো এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছে। ফলে সব দোকানপাট খুলে দেওয়া যায়।

“আমি মনে করি আমরা অনেকটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি যে, মহামারীর একেবারে প্রারম্ভিক ধাপটি আমরা পেরিয়ে এসেছি।” তবে এখনো সবাইকে খুব সতর্ক থাকতে হবে উল্লেখ করে ম্যার্কেল বলেন, এ মহামারী থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া এখনও অনেক দূরের পথ।

জার্মানিতে করোনাভাইরাসে ৭ হাজারের কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স এবং স্পেনের তুলনায় কম। ফলে অন্যান্য দেশের তুলনায় জার্মানির অবস্থা ভাল বলেই মনে করছেন সেখানকার রাজ্যের নেতারা।

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল এরই মধ্যে ১৬ রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সামাজিক দূরত্ব বিধি ৫ জুন পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি অর্থনীতি সচল করতে বেশকিছু বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর মধ্যে দোকান, বাজার খোলার ক্ষেত্রে প্রাথমিক বাধানিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে৷ অর্থাৎ, কেবল ৮০০ বর্গমিটার আয়তনের দোকান খোলার নিয়ম আর কার্যকর থাকছে না৷ গত ২০ এপ্রিলে প্রাথমিকভাবে জার্মানিতে লকডাউন শিথিলের সময় এ নিয়ম প্রযোজ্য ছিল।

এবারে কিন্ডারগার্টেনও খোলার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু মৌলিক বিধি স্থির করেছেন মের্কেল ও রাজ্য নেতারা৷ এর ভিত্তিতে রাজ্যগুলো নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে৷ জার্মান ফুটবল লিগ বুন্দেসলিগাও মে মাসে সীমিত আকারে চালু হবে৷

জার্মানির রাজ্যগুলো পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ফেডারেল স্তরেও কিছু বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে, যেমন এতদিন শুধু পরিবার বা নিজস্ব বাসস্থানের বাকি সদস্যদের সঙ্গে প্রকাশ্যে বের হওয়ার অনুমতি ছিল৷ কিন্তু এখন থেকে অন্য একটি পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে মেলামেশার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে৷

সার্বিকভাবে নিয়ম শিথিল হওয়ার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে কিছু নীতিমালাও স্থির করা হয়েছে। এ নীতি অনুযায়ী, স্থানীয় বা আঞ্চলিক স্তরে সংক্রমণ আচমকা বেড়ে গেলে সেই এলাকার জন্য কড়াকড়ি আবার চালু করার ব্যবস্থা থাকবে৷ অর্থাৎ, প্রয়োজনে যে কোনো অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।