যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শুক্রবার বলেছেন, “শান্তির পথে এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
সফল হলে দুই পক্ষ প্রায় দুই দশকের সংঘাত নিরসনে প্রথম পর্যায়ের একটি চুক্তি সই করতে পারে।
আংশিক ওই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে শুক্রবার মধ্য রাত থেকেই।
আমেরিকা এবং আফগান তালেবান প্রতিনিধিদের এক বছরেরও বেশি সময়ের আলোচনার পরই এ যুদ্ধবিরতি হচ্ছে।
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা সরানোর মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে শান্তি প্রক্রিয়ার ভিত তৈরির আশা নিয়ে একটি ব্যাপকভিত্তিক চুক্তি সইয়ের আগে এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে একটি ‘উপযোগী নিরাপত্তা পরিস্থিতি’ তৈরি হবে বলে এক বিবৃতিতে বলেছেন তালেবান আলোচকরা।
নেটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি তালেবানের সহিংসতা কমানোর সক্ষমতা, সদিচ্ছা এবং শুভ বিশ্বাসে শান্তিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
আংশিক ৭ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, তালেবান, আফগান এবং আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো বড় ধরনের অভিযান চলতে পারবে না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা তালেবানের সঙ্গে আফগানিস্তানজুড়ে সহিংসতা কমানোর ব্যাপারে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি।”
“এই সমঝোতা সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান (শান্তি) চুক্তি নিয়ে সামনে আগানো যাবে বলে আশা করা যায়। আমরা ২৯ ফেব্রুয়ারি এ চুক্তি সই করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”