করোনাভাইরাস: ইয়োকোহামায় প্রমোদতরীতে আক্রান্ত আরও ৪১

জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরের কাছে পৃথক করে রাখা প্রমোদতরীর আরও ৪১ জনের দেহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2020, 05:25 AM
Updated : 7 Feb 2020, 05:28 AM

এ নিয়ে প্রমোদতরীটির মোট ৬১ জনের দেহে নিউমোনিয়া সদৃশ নভেল এ করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলল। 

প্রায় তিন হাজার ৭০০ আরোহীর ডায়মন্ড প্রিন্সেস নৌযানটি দুই সপ্তাহ ধরেই বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গত মাসে জাহাজে থাকা হংকংয়ের ৮০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর আরোহীদের পরীক্ষা করা শুরু হয়।

ওই ব্যক্তি ২০ জানুয়ারি প্রমোদতরীটিতে উঠেছিলেন, ২৫ জানুয়ারি তিনি হংকংয়ে নেমে যান। এর কয়েকদিন পরই তার শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।

সাবেক যাত্রীর অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে প্রমোদতরীটির কর্মকর্তারা যাত্রীদের পরীক্ষা শুরু করেন। পরে ইয়োকোহামা বন্দরের কাছে জাহাজটিকে পৃথক করে রাখা হয়। প্রথম দফায় ১০ জন, দ্বিতীয় দফায় ১০ জনের পর পর্যবেক্ষণে থাকা শেষ ১৭১ জনের মধ্যে ৪১ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হল।

তিন হাজার ৬০০ যাত্রীর আরেকটি প্রমোদতরী ওয়ার্ল্ড ড্রিমকেও হংকং বন্দরের কাছে পৃথক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এ জাহাজটির সাবেক ৮ যাত্রীর দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর থেকে যাত্রীদের পরীক্ষা চললেও এখনও কারও শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

ডায়মন্ড প্রিন্সেসের যাত্রীদের নিয়ে জাপানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৬; চীনের বাইরে কোনো দেশে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

“শেষ ১৭১ জনের পরীক্ষার ফল এসেছে, যার মধ্যে ৪১জনেই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত বলে জানা গেছে। আক্রান্তদেরকে জাপানের বিভিন্ন এলাকার হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। 

নৌযানটির আক্রান্ত ৬১ ব্যক্তির মধ্যে ২৮ জনই জাপানের নাগরিক বলে বিবিসি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ১১ জন, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার ৭ জন করে ১৪, চীনের ৩ এবং যুক্তরাজ্য, নিউ জিল্যান্ড, তাইওয়ান, ফিলিপিন্স ও আর্জেন্টিনার একজনে করে নাগরিকের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি মিলেছে। 

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস এরই মধ্যে ৬৩৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে; আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩২ হাজারের কাছাকাছি।

চীনের বাইরে আরও প্রায় ২৫টি দেশে করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ে ‘বৈশ্বিক সতর্কতা’ও জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।