ফ্লোরিডায় মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে সৌদি বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তার প্রাণঘাতী বন্দুক হামলার কারণে শুরু হওয়া পেন্টাগনের পর্যালোচনা শেষ হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে, শনিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
৬ ডিসেম্বরের ওই হামলায় সৌদি বিমান বাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মোহাম্মেদ সায়ীদ আলশামরানি (২১) মার্কিন তিন নাবিককে গুলি করে হত্যা করেন।
কিন্তু যেসব সৌদি সামরিক সদস্যকে বহিষ্কার করা হচ্ছে তারা আলশামরানিকে সহায়তা করার দায়ে অভিযুক্ত নন বলে অনামা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে সিএনএন।
এ বিষয়ে পেন্টাগনের কাছে প্রশ্ন পাঠানো হলে তারা মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে প্রশ্নগুলো পাঠিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও মার্কিন বিচার বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। এফবিআই ও ওয়াশিংটন ডিসির সৌদি দূতাবাসও মন্তব্যের অনুরেোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি, জানিয়েছে রয়টার্স।
ফ্লোরিডার ওই ঘটনার পর ১০ ডিসেম্বর এক ঘোষণায় পেন্টাগন জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে।
এরপর ১৯ ডিসেম্বর আরেক ঘোষণায় পেন্টাগন জানায়, তাদের পর্যালোচনায় যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত সৌদি আরবের প্রায় ৮৫০ জন সামরিক বাহিনীর শিক্ষার্থীর দিক থেকে কোনো হুমকি পাওয়া যায়নি।
এফবিআই জানিয়েছে, ওই ঘটনা আলশামরানি একাই ঘটিয়েছেন বলে বিশ্বাস মার্কিন তদন্তকারীদের।
বন্দুক হামলার এক পর্যায়ে মার্কিন এক ডেপুটি শেরিফের গুলিতে নিহত হন আলশামরানি।