ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আরেক দফা ধাক্কা খেয়েছেন জনসন। মঙ্গলবার ব্রেক্সিট চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়ে আলোচনার জন্য তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার
জনসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এখন ইইউ নেতারা বিবেচনা করে দেখছেন ব্রেক্সিটের সময় ৩১ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা বা সময় কতদিন বাড়ানো যায় সেটি।
জনসন আইনের কারণে ইইউ এর কাছে ব্রেক্সিটে তিন মাস দেরির অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখতে বাধ্য হলেও জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাজ্য ৩১ অক্টোবরেই ইইউ ত্যাগ (ব্রেক্সিট) করবে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক এক টুইটারে বলেছেন, তিনি ইইউ নেতাদেরকে ব্রেক্সিটে দেরি করার প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ার সুপারিশ করছেন। ইউরোপীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ব্রেক্সিটে তিনমাস দেরি মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে দ্রুত ব্রেক্সিট বিল পাস করাতে পারলে আরো আগেই তাদের বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগও রাখা হবে।
তাছাড়া, ফ্রান্সের মতো কয়েকটি ইইউ দেশ মাত্র কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের জন্য ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর দাবি জানাতে পারে সে সম্ভাবনাও আছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্র বলেছেন, ইইউ জানুয়ারির শেষ নাগাদ দেরি করার প্রস্তাব দিলে যুক্তরাজ্যে নির্বাচন করাটাই দরকার হয়ে পড়বে। আর তা হতে পারে ক্রিসমাসের আগেই।
তবে জনসন সাধারণ নির্বাচন চাইলেও তা তিনি সহজেই ডাকতে পারবেন না। তার এ পদক্ষেপে পার্লামেন্টের সমর্থন লাগবে। বিরোধীদলীয় এমপি’রা এর আগেও ৩১ অক্টোবরে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট হওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা নাকচ করেছেন।
বিচারমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড বিবিসি ব্রেকফাস্ট টিভি প্রোগ্রামে বলেছেন, সাধারণ নির্বাচনই এ অচলাবস্থা থেকে বের হওয়ার একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন তিনি।
অন্যদিকে, বিরোধী লেবার পার্টির রিচার্ড বারগন বিবিসি রেডিও ফোর’স টুডে প্রোগামে বলেছেন, ইইউ ব্রেক্সিটের সময় বাড়ালে তার দল সাধারণ নির্বাচনে রাজি হবে। কারণ, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা তখন আর থাকবে না।