তিনি বলেন, এই সেকেলে স্থাপনাগুলোকে সরিয়ে আধুনিক করে গড়ে তুলতে হবে। বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে।
মাউন্ট কুমগ্যাং দুই কোরিয়ার মধ্যকার প্রধান দুটি অর্থনৈতিক প্রকল্পের একটি। অপর প্রকল্পটি হচ্ছে কায়েসং শিল্প এলাকা।
১৯৫০-৩৫ সালের কোরিয়া যুদ্ধের পর দুই কোরিয়ার মধ্যে কয়েক দশকের বৈরিতার সময়টিতে দুই কোরিয়ার মধ্যে সহযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে আছে কুমগ্যাং প্রকল্প।
কিন্তু উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে এ পর্যটন কেন্দ্রটি কিম পরিদর্শন করার সময় এর সমালোচনা করেছেন এবং এ প্রকল্প পূর্বসূরিদের খুবই ভুল এবং নির্ভরশীল নীতি আখ্যা দিয়েছেন । নিজ ভূখন্ডের উন্নতি করতে পূর্বসূরিরা দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর নির্ভর করেছেন বলে দোষারোপ করেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা ছাড়াই উত্তর কোরিয়ার এ প্রকল্পের কাজ করা ভাল বলে কিম মন্তব্য করেন। টিকে থাকা এবং উন্নতি করার জন্য স্বনির্ভরতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার যে প্রচার সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া চালাচ্ছে নেতা কিমের মন্তব্যে তাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে, বলছেন সংবাদদাতারা।
উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মাউন্ট কুমগ্যাং রিসোর্টটি দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো গড়ে তুলেছে ১৯৯০ এর দশকে। অনেক কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে এ এলাকা ভ্রমণ করে লাখো দক্ষিণ কোরীয় পর্যটক। তবে ২০০৮ সালে সেখানে উত্তর কোরীয় গার্ডদের গুলিতে এক নারী পর্যটকের মৃত্যুর পর হঠাৎ পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ করা হয়।
২০১১ সালে উত্তর কোরিয়া ওই কমপ্লেক্সে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পত্তি জব্দ করে বাদবাকী দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তাদেরকে বহিষ্কার করে।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার কেসিএনএ বার্তা সংস্থা বলেছে, কিম ওই রিসোর্টটি পরিদর্শন করেছেন এবং ভবনগুলো পুরোনো এবং জরজীর্ণ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। তাই তিনি এ ভবনগুলো সব গুঁড়িয়ে দিয়ে উত্তর কোরিয়ার নিজস্বভাবে আধুনিক ভবন বানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।