রোববার এসডিএফ একথা জানালেও প্রত্যাহার সম্পূর্ণ হয়নি বলে তুরস্ক সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্র পাল্টা দাবি করেছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন সিরীয় এলাকাগুলো থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের হটিয়ে দিয়ে সেখানে একটি ‘সেইফ জোন’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছে তুরস্ক। এই লক্ষ্যে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তারা। তুরস্ক কথিত ‘সেইফ জোন’ সীমান্ত থেকে সিরিয়ার ভিতরে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার কথা।
এই অঞ্চলের যে দুটি সীমান্ত শহরকে প্রধান লক্ষ্যস্থল করেছে তুরস্ক রাস আল আইন তার একটি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বৈঠকের পর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় তুরস্ক। বৃহস্পতিবার রাত থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি শেষে ওই সেইফ জোন এলাকায় এসডিএফের কোনো উপস্থিতি থাকলে তুরস্ক ফের আক্রমণ শুরু করবে বলে সতর্ক করেছেন এরদোয়ান।
রাস আল আইনের কথা উল্লেখ করে এসডিএফের মুখপাত্র কিনো গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, “শহরটিতে আমাদের আর কোনো যোদ্ধা নেই।”
এর আগে আঙ্কারা জানায়, রাস আল আইনে কয়েক ডজন গাড়ি প্রবেশ করার পর আবার ফিরে গেছে। তুরস্কের বাহিনীগুলো ও তাদের সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীরা প্রায় চারদিক থেকে শহরটি ঘিরে রেখেছে।
কিন্তু রাস আল আইন থেকে এসডিএফ ‘এখনও পুরোপুরি সরে যায়নি’ বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীদের মুখপাত্র মেজর ইউসেফ হামৌদ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর তুরস্ক তাদের অভিযান শুরু করে। কয়েক বছর ধরে মার্কিন সেনাদের পাশাপাশি থেকে কুর্দি যোদ্ধারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। এসডিএফের প্রধান অংশীদার কুর্দি ওয়াইপিজি বাহিনী সিরিয়ার মার্কিন বাহিনীর প্রধান মিত্র ছিল।
হঠাৎ করে এই মিত্রদের ছেড়ে আসার সিদ্ধান্তের কারণে ট্রাম্প দেশে ও বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন। এ পরিস্থিতিতে পূর্ব সিরিয়ার ইরাক সীমান্তে প্রায় ২০০ মার্কিন সেনা রেখে দেওয়ার একটি পরিকল্পনায় সমর্থন জানিয়েছেন তিনি, জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধে করা হলে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের কুর্দি বিদ্রোহীদের সঙ্গে ওয়াইপিজির সম্পর্ক থাকায় গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। নিজ দেশের কুর্দি বিদ্রোহীদের থেকে ওয়াইপিজিকে দূরে রাখতেই আঙ্কারা সিরিয়ার উত্তর সীমান্ত অঞ্চলে কথিত ‘সেইফ জোন’ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।