ট্যাংকারটি মাছ ধরার কয়েকটি নৌকার ওপর গিয়ে পড়ে, এতে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয় বলে স্থানীয় কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বরাতে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
সেতুটি ধসে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিখোঁজদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়।
মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনায় ওই ট্যাংকারটির চালক ও মাছ ধরার নৌকার কয়েকজন কর্মীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে।
তাইওয়ান নিউজের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যের নানফাং’আও সেতুটি স্থানীয় সময় সাড়ে ৯টার দিকে ধসে পড়ে।
প্রাথমিকভাবে ১০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তাইওয়ানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সু কুয়ো ইয়াং ফরমোজা টেলিভিশনকে জানিয়েছেন। এদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তিনি। দুই জন উদ্ধারকর্মীও আহত হয়েছেন।
ট্যাংকারটি সেতুটির অপরপ্রান্তে প্রায় পৌঁছে গিয়েছিল, তখনই সেতুটি ধসে পড়ে। এতে ট্যাংকারটি পেছনে পিছলে নদীতে নোঙর করে থাকা মাছ ধরার কয়েকটি নৌকার ওপর পড়ে যায়। পড়ার পরপরই ট্যাংকারটিতে আগুন ধরে যায়।
ট্যাংকারটির আঘাতে তিনটি মাছ ধরার নৌকা থেতলে যায়। মাছ ধরার নৌকার নয় কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে ছয় জন ফিলিপিনো ও তিন জন ইন্দোনেশীয়।
মাছ ধরার নৌকাগুলোয় কয়েকজন আটকা পড়ে আছেন, এমন শঙ্কায় ডুবুরিরা নৌকাগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে সুয়াওয়ের দুই সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
শহরটির মেয়রের সচিব শিহ আই-চুন বলেছেন, “কয়েকজন জেলে নৌকাগুলোতে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করছি আমরা।”
কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে একটি জরুরি কেন্দ্র স্থাপন করে উদ্ধার কাজ তদারকি করছে। মেরিন ও নৌবাহিনী উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে বলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
এক ফেইসবুক পোস্টে তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং-ছাং বলেছেন, “জীবন রক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ধারের সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি।”
তাৎক্ষণিকভাবে সেতু ধসে পড়ার কারণ পরিষ্কার হয়নি।
এদিকে সোমবার রাতে ঘণ্টায় একটানা সর্বোচ্চ ১৬২ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে টাইফুন মিতাগ তাইওয়ানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে তাণ্ডব চালায়। এতে ১২ জন আহত ও ৬৬ হাজারেরও বেশি বাড়ি বিদুৎবিহীন হয়ে পড়ে। টাইফুনের কারণে ১৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয় বলে জানিয়েছ রয়টার্স।