ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ায় সহিংসতায় ২৭ জনের প্রাণহানি

ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ায় ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। আঞ্চলিক রাজধানী ওয়ামেনায় কয়েকটি ভবনে বিক্ষোভকারীদের লাগানো আগুনে সোমবার নিহত হয়েছে ২৩ জন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2019, 06:09 AM
Updated : 24 Sept 2019, 01:48 PM

অন্যদিকে, পাপুয়ার প্রাদেশিক রাজধানী জয়াপুরায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেনা-পুলিশের সংঘর্ষে আরো চারজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে।

ওয়ামেনায় নিহতদের মধ্যে ভবনগুলোর মধ্যে আটকা পড়া লোকজনও রয়েছেন। যে বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়েছে তাদের অধিকাংশই হাই স্কুলের শিক্ষার্থী বলে গণামধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

একজন শিক্ষক এক ছাত্রকে বর্ণবাদী গালি দেওয়ার পর ওয়ামেনায় দাঙ্গা শুরু হয় বলে পশ্চিম পাপুয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।

কিন্তু পাপুয়ার পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করে একে ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে বর্ণনা করেছে। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা থেকে দাঙ্গাগুলোর সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে তারা।

সোমবার ওয়ামেনা এবং জয়পুরায় পৃথক পৃথক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। অনেক বেসামরিক নাগরিক ‘জ্বলতে থাকা দোকানগুলোতে আটকা পড়ায়’ মৃতের আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পাপুয়ার সামরিক মুখপাত্র কর্নেল একো দারিয়ান্তো।

অগাস্টেও এ অঞ্চলটিতে প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে অস্থিরতা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল।

পৃথক ঘটনায় প্রাদেশিক রাজধানী জয়াপুরায় আরও চার জন নিহত হয়েছেন। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা এক সৈন্য ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর ছুরি ও পাথর নিয়ে হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভাকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিন বেসামরিক নিহত হন। শিক্ষার্থীদের হামলায় আহত সৈন্য পরে মারা যান।

গণমাধ্যমে আসা ছবিতে জয়াপুরার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বহু পুলিশ সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

পাপুয়া দুটি প্রদেশে বিভক্ত, পাপুয়া ও পশ্চিম পাপুয়া। ১৯৬১ সালে নেদারল্যান্ডের তৎকালীন উপনিবেশ পাপুয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ১৯৬৯ সালে বিতর্কিত একটি গণভোটের মাধ্যমে এটি ইন্দোনেশিয়ার অংশ হয়ে দাঁড়ায়।

স্বাধীনতার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত ওই গণভোটে মাত্র এক হাজার লোক ভোট দেওয়ার অনুমতি পেয়েছিল। ওই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কম শক্তিশালী একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে আসছে।

এই প্রদেশ দুটিতে ভিন্নমত দমনে ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে বলে অভিযোগ আছে।