সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ-তে রাজকীয় প্রজ্ঞাপন জারি করে খালিদ আল-ফালিহকে সরিয়ে নতুন এ নিয়োগের কথা জানানো হয়।
এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম রাজ পরিবারের কোনো সদস্য বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন।
১৯৬০ সালের পর সৌদি আরবে পাঁচজন তেল মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। যাদের কেউই রাজ পরিবারের সদস্য ছিলেন না।
প্রিন্স আব্দুলাজিজ দীর্ঘদিন ধরে অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) এ সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। যে কারণে তেল সংক্রান্ত বিষয়ে তার কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তবে নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে সৌদি আরবের তেল ও ওপেক নীতিতে তিনি খুব একটা পরিবর্তন আনবেন না বলেই বিশ্বাস সৌদি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের।
বাজারে ভারসাম্য ধরে রাখতে এবং তেলের দর পতন রোধে সম্প্রতি ওপেকভুক্ত এবং ওপেকের বাইরের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর (ওপেক+) মধ্যে তেল উৎপাদন হ্রাসের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। ওই চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী ছিলেন প্রিন্স আব্দুলাজিজ।
প্রিন্স আব্দুলাজিজ সৌদি তেল নীতি আরো সমৃদ্ধ করবেন এবং ওপেক ভুক্ত ও ওপেক+ দেশগুলোর সঙ্গে আরো দৃঢ় সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এক সৌদি কর্মকর্তা।
৫৯ বছরের প্রিন্স আব্দুলাজিজ দেশটির ক্ষমতাধর যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সৎ ভাই।
২০১৭ সাল থেকে তিনি জ্বালানি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া, সাবেক তেল মন্ত্রী আলি আল-নাইমির সহযোগী হিসেবেও আব্দুলাজিজের দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা আছে।
এতদিন রাজপরিবারের কোনো সদস্যকে দেশের তেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব না দেওয়ার অলিখিত রেওয়াজ চালু ছিল। নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ওই রীতি ভেঙে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেন প্রিন্স আব্দুলাজিজ।