দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, কাজে যোগ দিন: চিকিৎসকদের মমতা

ভারতের পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যে চিকিৎসকদের ধর্মঘট ষষ্ঠ দিনে গড়ানোর আগে তাদের যৌক্তিক সব দাবী মেনে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2019, 04:23 PM
Updated : 15 June 2019, 04:23 PM

এনডিটিভি জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে মমতা তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তার সরকার চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। 

ধর্মঘটরত চিকিৎসকদের শনিবার সচিবালয়ে তার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু চিকিৎসকরা তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে অচলাবস্থার সমাধান করার পাল্টা প্রস্তাব দেন।

জুনিয়র চিকিৎসকদের যৌথ ফোরামের এক বৈঠকের পর তাদের এক মুখপাত্র জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার কক্ষে তাদের প্রতিনিধিদের বৈঠক নিয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতা ও গভীরভাবে শঙ্কিত বোধ করছেন, এ কারণে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে তারা কোনো প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন না।  

এরপর মমতা তাদের শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য আরেকবার সময় দেন। কিন্তু ওই সময়ও ধর্মঘটী জুনিয়র চিকিৎসকরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাননি।

সংবাদ সম্মেলনে মমতা বলেন, “অন্য কোনো রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নিতো, আমরা তা নেইনি।”

পশ্চিম বঙ্গের চিকিৎসকরা টানা পাঁচ দিন ধরে ধর্মঘট করে আসছেন। ধর্মঘট প্রত্যাহারে ছয়টি শর্ত বেধে দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে ধর্মঘটকারীদের বিরুদ্ধে মমতার করা উক্তির জন্য তার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা এবং তাদের সহকর্মী চিকিৎসকদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া অন্যতম।

এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে থেকে চলতি চিকিৎসক ধর্মঘটের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন চেয়েছে বলে শনিবার এনডিটিভিকে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র।  

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি দিয়ে চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করা যে কারো বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার একজন রোগীর পরিবারের সদস্যরা দুই জন জুনিয়র চিকিৎসককে পিটিয়ে আহত করার পর থেকে পশ্চিম বঙ্গের চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরু করেন। ক্রমে তা ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।