ওমান উপসাগরে ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণে ইরান দায়ী: যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও ওমান উপসাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2019, 06:36 AM
Updated : 14 June 2019, 06:37 AM

বৃহস্পতিবার কোকুয়া কারেজেস ও ফ্রন্ট আলটেয়ার নামের নৌযানদুটিতে ‘বিস্ফোরণের পর’ আগুন ধরে গেলে ইরানি উদ্ধারকারী দল ট্যাঙ্কার দুটির ৪৪ ক্রুকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলসীমায় চারটি ট্যাঙ্কারে ‘অন্তর্ঘাতমূলক হামলার’ একমাস পর এ ঘটনা ঘটলো। ওই ঘটনার জন্যও ওয়াশিংটন তেহরানকে দায় দিয়েছিল।

শুক্রবার মার্কিন সামরিক বাহিনী তাদের অবস্থানের সপক্ষে একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ভিডিওতে বিস্ফোরণের ৮ ঘণ্টা পর ‘ইরানি রেভ্যুলেশনারি গার্ডের সদস্যদের একটি ট্যাঙ্কার থেকে অবিস্ফোরিত মাইন সরাতে দেখা যাচ্ছে’ বলেও দাবি তাদের।

‘অবিস্ফোরিত মাইনসহ’ ওই জাপানি নৌযানটির আগের ছবিও প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

তেহরানই ট্যাঙ্কারে হামলা চালানোর পর তাদের অবিস্ফোরিত মাইনগুলো খুলে নিয়েছে বলে ছবিও ও ভিডিওতে ইঙ্গিত করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবারের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত অপর ট্যাঙ্কারটি নরওয়ের।

ইরান তাদের বিরুদ্ধে ওমান উপসাগরে ট্যাঙ্কারে হামলার অভিযোগ ‘সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান’ করার কথা জানিয়েছে।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ইরান মিশন ওয়াশিংটনের অভিযোগের ‘কড়া নিন্দা’ জানায়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ওই ছবি ও ভিডিও ছাড়ে।

ভিডিও বিষয়ে তেহরানের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

মে-তে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হামলার অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছিল ইরান। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্র দায়ী করলেও আরব আমিরাত তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট কোনো দেশের দিকে আঙুল তোলেনি।

বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৪ শতাংশের মতো বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

“যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন বলছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানই এ হামলার জন্য দায়ী। যেসব অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, হামলায় যে ধরণের বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন, সম্প্রতি বিভিন্ন নৌযানে একইরকম হামলার ধরণ এবং ওই অঞ্চলে এ ধরনের সংবেদনশীল হামলার জন্য যে সম্পদ ও দক্ষতা প্রয়োজন তাতে পারদর্শী কোনো ছদ্মবেশি গোষ্ঠী ক্রিয়াশীল না থাকা- এসব তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে,” ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন মাইক পম্পেও।