হাঙ্গেরি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে: কাউন্সিল অব ইউরোপ

শরণার্থী বিরোধী নীতির মাধ্যমে হাঙ্গেরি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে; অভিযোগ কাউন্সিল অব ইউরোপের।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2019, 06:13 PM
Updated : 21 May 2019, 06:13 PM

মানবাধিকার  লঙ্ঘন নিয়ে কাউন্সিল থেকে ৩৭ পাতার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানায় বিবিসি।

কাউন্সিলের মানবাধিকার কমিশনার দুনজা মিজাতোভিচ বলেন, সরকারের  শরণার্থী বিরোধী অবস্থানের কারণে ‘জনগণের মধ্যে ভিনদেশিদের নিয়ে ভয়, আতঙ্ক এবং ঘৃণা উসকানি ’ পাচ্ছে।

হাঙ্গেরির ‘ট্রানজিট জোনে’ অনেক আশ্রয়প্রার্থী খাদ্যাভাবে রয়েছে জানিয়ে তিনি সরকারকে দ্রুত এ কৌশল বন্ধ করার আহ্বানও জানান।

তিনি বলেন, “হাঙ্গেরিতে আশ্রয়প্রার্থীরা যে সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে আছে তা অন্যায্য। আমি সরকারকে তাদের অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে সেখানে আপনা আপনি একটি নিয়ম চালু হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ওই নিয়মে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানানো এবং স্বীকৃত শরণার্থীদের একত্রীকরণের কাজ গুলিয়ে যাচ্ছে।”

সার্বিয়া সীমান্তে হাঙ্গেরির দুইট ‘ট্রানজিট জোন’ আছে। সেখান দিয়ে আসা লোকজনই কেবল আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারে।

“ওই দুইটি অঞ্চল দিয়ে খুব কম মানুষকেই আসতে দেওয়া হয়। ট্রানজিট জোনে আশ্রয়প্রার্থীদের এমনকি শিশুদের আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামত আটকে রাখা হয় এবং কখনো কখনো খাবারও দেওয়া হয় না।”

বিদেশি নাগরিকদের বের করে দিতে পুলিশের অত্যধিক বলপ্রয়োগ নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

অভিবাসন নীতি নিয়ে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান এবং তার জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে মানবাধিকার সুরক্ষা সংগঠনগুলোর নিয়মিত সংঘাত বাধে।

কাউন্সিল অব ইউরোপের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদনের অনেক পয়েন্ট নিয়ে বিতর্ক আছে।

মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতির সঙ্গে ১৮ পাতার একটি অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্তি প্রকাশ করা হয়।

বলা হয়, “হাঙ্গেরি আন্তর্জাতিক আইন মেনেই সবকিছু করছে।”

৪৭টি দেশ নিয়ে গঠিত কাউন্সিল অব ইউরোপ আলাদা সংগঠন, এর সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সম্পর্ক নেই।