সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার সানডিয়াগো শহরের প্রায় ৩০ মাইল উত্তরে অবস্থিত ইসলামিক সেন্টার অব এসকনডিডোতে রোববার ভোররাত সোয়া তিনটার দিকে আগুন লাগার খবর আসে বলে জানিয়েছে সেখানকার স্থানীয় পুলিশ এবং অগ্নিনির্বাপণ কর্তৃপক্ষ। তবে মসজিদের লোকজনরাই তাৎক্ষণিকভাবে বাইরে বেরিয়ে এসে সে আগুন নিভিয়েছে। আগুনে ভবনের বাইরের দিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে পাওয়া চিরকুট সম্পর্কে এসকনডিডোর পুলিশ কর্মকর্তা ক্রিস লিক সিএনএন এর কেজিটিভি’কে বলেছেন, মসজিদের পার্কিং লটের কাছে চিরকুটটি পাওয়া গেছে। এতে এ মাসে নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে এক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীর বন্দুক হামলায় ৫০ জন নিহতের ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। তবে চিরকুটের লেখার বিস্তারিত বিবরণ জানাননি তিনি।
মসজিদে আগুনের ঘটনাটিকে হেট ক্রাইম হিসেবে ধরে তদন্ত করছে ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ। তবে অগ্নিসংযোগকারী হিসাবে কাউকে সন্দেহ করার ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি তদন্ত কর্মকর্তারা। আগুন লাগার সময় মসজিদটির ভেতরে অন্তত সাত মুসল্লি ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি ইউসুফ মিলার বলেন, “নামাজ শেষে রাতে মসজিদে মুসল্লিরা ঘুমায়।” তারা সবাই রাতে শব্দ শুনেছে, ধোঁয়ার গন্ধ পেয়েছে বলে জানান মিলার। উপরন্তু ঘটনাস্থল থেকে নিউ জিল্যান্ডে হামলার উল্লেখ করা চিঠি পাওয়ার ঘটনাটি উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে এতে মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে যাওয়া বন্ধ হবে না বলেও জানান তিনি।
এসকনডিডো পুলিশ কর্মকর্তা ক্রিস লিক বলেন, “নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলার পর থেকেই মসজিদ এলাকাগুলোতে কড়া টহল দেওয়া হচ্ছে। সবাইকেই নামাজ পড়ার জায়গাগুলোতে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।”
ওদিকে, মুসল্লি ইউসুফ মিলার বলেন, “আজ সকালে যা ঘটেছে তা খুবই উদ্বেগজনক। বিশ্বজুড়ে, দেশে দেশে যা চলছে তাতে প্রত্যেকেই আজ উৎকণ্ঠায় আছে। আমরা এতে বিস্মিত নই। আমরা সতর্ক থাকার চেষ্টা করছি। কিন্তু এমন ঘটনা যে কোনোখানে যে কারো ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে।”