ভোটে লড়বেন না, ঘোষণা মায়াবতীর

কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পর এবার উত্তর প্রদেশের বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতীও ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2019, 02:14 PM
Updated : 20 March 2019, 02:14 PM

ভোটে না দাঁড়িয়ে বরং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে জোটের হয়ে কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন মায়াবতী। এনডিটিভি জানায়, বুধবার লক্ষ্ণৌতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সাংবাদিকদের মায়াবতী বলেন, চাইলেই তিনি লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেন। কিন্তু সবদিক খতিয়ে দেখে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। “আমি জোটকে কোনো মূল্যেই ভোগান্তিতে ফেলতে পারি না। আমার জয়লাভের চেয়ে বেশি আসন জেতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ,” বলেন তিনি।

তার যুক্তি, ‘‘আমি লড়লে সবাই আমার কেন্দ্রে গিয়ে প্রচার চালাবে। এতে বাকি আসনে প্রভাব পড়তে পারে। তাই দল এবং সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দল আমার এ সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ বুঝতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস। আমাদের জোট খুব ভালো করছে। (জোটের জন্য) আমি একটি আসন খালি করে দিতেই পারি এবং পরে যদি প্রয়োজন হয় তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামব।”

ভারতের নিম্নবর্ণের হিন্দু সম্প্রদায় দলিতদের রাজনৈতিক ‘আইকন’ মায়াবতী। তিনি চারবার ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় এই নেত্রী কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও প্রভাবশালী। অন্যদিকে, মায়াবতীর ঘাঁটি উত্তর প্রদেশ থেকেই ভারতের পার্লামেন্টের নিম্মকক্ষ লোকসভায় সবচেয়ে বেশি এমপি নির্বাচিত হন।

তাই স্বাভাবিকভাবেই মায়াবতীর ভোটে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা সবাইকে অবাক করেছে। যদিও ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে মায়াবতীর দল একটি আসনও পায়নি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে এবার মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) দীর্ঘদিনের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধেছে। যাকে তারা নাম দিয়েছেন ‘গাটবন্ধন’। বর্তমানে উত্তর প্রদেশের ক্ষমতাও বিজেপি’র দখলে।

ভারতের জাতীয় নির্বাচনে মোট সাত দফায় ভোট গ্রহণ হবে। আগামী ১১ এপ্রিলে হবে প্রথম দফার ভোট, তারপর ১৮ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ৬ মে, ১২ মে এবং সবশেষে ১৯ মে ভোট গ্রহণ হবে। ভোটের ফল ঘোষণা হবে ২৩ মে।

লোকসভার মোট আসন সংখ্যা ৫৪৩। তার মধ্যে উত্তর প্রদেশ থেকে ৮০ জন এমপি নির্বাচিত হন।