বিলে ইন্টারনেট কিংবা প্রদর্শনী থেকে অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রেও বিস্তৃত ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের’ বিধান রাখা হয়েছে।
বুধবার ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি ২৪০-১৯০ ভোটে অনুমোদিত হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত উচ্চকক্ষে এটি আটকে যাবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। দুই কক্ষ অনুমোদন দিলেও আইনে পরিণত হতে বিলটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর লাগবে।
মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীতে নাগরিকদের অস্ত্র রাখার অধিকার দেওয়া হয়েছে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কঠোরের আইনটি ওই ‘সংশোধনীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায়’ ট্রাম্পের উপদেষ্টারা এ বিলটিতে ভিটো ক্ষমতা ব্যবহারের সুপরিশ করতে পারেন বলে ধারণা দিয়েছে হোয়াইট হাউসও।
রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের অনেকেই বলছেন, বর্তমান অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আরও আইন কঠোর করলেও তা ‘ম্যাস শুটিং’ এর পরিমাণ কমাবে না।
গত বছর ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের স্কুলে এক বন্দুক হামলা ১৭ শিক্ষার্থীর প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। ওই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করার জোর দাবি ওঠে।
অস্ত্র বিক্রি কঠোর করার সমর্থকরা বলছেন, ক্রেতাদের ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের’ ব্যাপারে সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশবাসীর সমর্থন আছে।
প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের উত্থাপিত এ যৌথ বিলটিতে জনসাধারণের কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেকে’ যে ছিদ্রগুলো আছে, তা বন্ধ করতে জোর দেওয়া হয়েছে।
নিজের ও অন্যের ক্ষতি করতে পারে এমন বিপজ্জনক ব্যক্তি যেন অস্ত্র কিনতে না পারেন এবং সহিংসতা ছড়াতে না পারেন তা নিশ্চিত করতেই বিলটি আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ডেমোক্রেট পার্টির নেতা ন্যান্সি পেলোসি।
ক্রেতাদের অতীত খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) আগে তিন কর্মদিবস পেত। এ সময় ১০ দিন করার জন্য আরেকটি বিলও বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে অনুমোদিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।