আইএস’র বিরুদ্ধে লড়তে যাওয়া সেনার বিচার করছে সুইজারল্যান্ড

জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস (আইএস) এর হয়ে লড়তে নয় বরং দলটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সিরিয়ায় যাওয়া এক সাবেক সুইস সেনা দেশে ফিরে বিচারের ‍মুখে পড়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2019, 04:29 PM
Updated : 21 Feb 2019, 04:29 PM

বিবিসি জানায়, বিদেশি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে সুইজারল্যান্ডের নিরপেক্ষতা এবং নিরাপত্তা ক্ষুন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে জোহান কোসার নামক ওই সেনার বিরুদ্ধে।

কোসার যা করেছেন তা লুকানোর কোনো চেষ্টা করেননি এবং আইএস বিরোধী লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি এখনো গর্বিত।

কিন্তু সুইজারল্যান্ডের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, “বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়ে লড়াই করার নিয়ম নেই। তা সে যে বাহিনীই হোক না কেন সেটি কোনো ব্যাপার নয়।”

কোসার জন্মসূত্রে সুইজারল্যান্ডের নাগরিক হলেও তার পূর্বপুরুষদের শেকড় আদতে সিরিয়ায়। কোসারের পরিবার ‘সিরিয়াক ক্রিশ্চিয়ান’ সম্প্রদায়ের সদস্য।

৩৭ বছর বয়সী কোসার বলেছেন, তিনি আসলে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসাবে কাজ করতে সিরিয়ায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে আইএস’কে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর চড়াও হতে দেখার পর তিনি তাদের সুরক্ষায় হাতে অস্ত্র তুলে নেন।

আইএস এর বিরুদ্ধে লড়তে কোসার ‘সিরিয়াক মিলিটারি কাউন্সিল’ গঠনে সহায়তা করেন এবং এ দলে সদস্য নিয়োগ করেন। সুইস সেনাবাহিনীতে শেখা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তিনি সদস্যদেরকে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেন, চেকপয়েন্ট স্থাপন করেন এবং তুমুল লড়াই চলার সময়টিতে তিনি ৫শ’র বেশি সদস্যের একটি দলের নেতৃত্বও দেন।

কিন্তু লড়াইশেষে সুইজারল্যান্ডে ফিরেই গ্রেপ্তার হন কোসার। সুইজারল্যান্ডের মিলিটারি পেনাল কোড অনুযায়ী, সরকারের অনুমতি ছাড়া বিদেশি কোনো বাহিনীতে যোগ দেওয়া নিষিদ্ধ। আর সেই নিষিদ্ধ কাজটি করার কারণেই এখন সামরিক আদালতে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে।