প্রবল বাতাসের কারণে রোববার দাবানলগুলো আরও ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা, এর ফলে সংলগ্ন এলাকাগুলোর আরও অনেক বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে পালাবেন বলে মনে করছেন তারা; খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
নিউ জিল্যান্ডের সিভিল ডিফেন্স নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, পিজিয়ন ভ্যালির দাবানল দুই হাজার ৩০০ হেক্টরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে যার পরিধি ২৫ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত কারো মৃত্যু হয়েছে বলে খবর হয়নি এবং মাত্র একটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
রোববার ভোরে ১৫৫ জন দমকল কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ২৩টি হেলিকপ্টার ও তিনটি বিমান উপর থেকে তাদের সাহায্য করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসে হেলিকপ্টার ও বিমানযোগে দাবানল নিয়ন্ত্রণের এটিই সবচেয়ে বড় উদ্যোগ বলে জানিয়েছে তারা।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউ জিল্যান্ডের সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোলার রজার বল জানিয়েছেন, তিন হাজারেরও বেশি লোক পিজিয়ন ভ্যালি ও ওয়েকফিল্ড এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
রোববার স্থানীয় আরও অনেক বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেলসনের দক্ষিণে ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ এলাকা বনায়নের জন্য ব্যবহৃত হলেও সেখানে ছোট ছোট অনেক খামারও আছে। এসব এলাকা থেকে অনেক গবাদিপশুও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার দাবানল শুরু হওয়ার পর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার জরুরি অবস্থা জারি করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলো।
শত শত স্বেচ্ছাসেবক ও পেশাদার দমকল কর্মী, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।