পুতিনের সঙ্গে আলাপ গোপনের অভিযোগ অস্বীকার ট্রাম্পের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপের বিস্তারিত গোপন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, তিনি কোনোকিছুই লুকোচ্ছেন না।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2019, 01:58 PM
Updated : 13 Jan 2019, 01:59 PM

শনিবার ‘ দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। সেখানে বলা হয়, ২০১৭ সালে অন্তত একবার পুতিনের সঙ্গে আলাপের পর নিজের অনুবাদকের কাছ থেকে ‘আলাপের নোট’ নিয়ে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। হামবুর্গে বৈঠকের বেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

তাছাড়া, গত বছর ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে দুই নেতার দুই ঘণ্টা ধরে মুখোমুখি একান্ত আলাপেরও কোনো রেকর্ড নেই।

পত্রিকাটি ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এমনকি তার প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদেরকেও পুতিনের সঙ্গে আলাপচারিতার বিষয়ে কিছুই জানাননি।

হেলসিঙ্কিতে দুই নেতা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সেখানে শুধুমাত্র দুইপক্ষের দুজন অনুবাদক উপস্থিত ছিলেন। যেমনটি যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্টদের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।

কিন্তু ওয়াশিংটন পোস্ট এর প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি কিছুই গোপন করছি না। আমি এ বিষয়ে উদাসীন হতে পারি না।”

হেলসিঙ্কিতে পুতিনের সঙ্গে আলাপচারিতা ‘দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে হওয়া সাধারণ আলাপচারিতার মতোই ছিল’ বলে ট্রাম্প দাবি করেছেন।

তিনি বলেন,“সেখানে আমাদের মধ্যে অর্থনীতির মত অসাধারণ বিষয় নিয়ে খুবই ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। যে কেউ ওই আলাপচারিতা শুনতে পারেন। ওটা সবার জন্যই উন্মুক্ত। রাশিয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্তের পুরো বিষয়টিই ধাপ্পাবাজি।”

“আমি বিশ্বের আরও অনেক নেতার সঙ্গে মুখোমুখি আলাপ করেছি। কিন্তু শুধু পুতিনের সঙ্গে বৈঠক নিয়েই সবাই কথা বলছে।”

‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ এর প্রতিবেদনটি অযৌক্তিকরমক ভুল বলে বর্ণনা করে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডারস বলেছেন, এমনকি এ খবরে প্রতিক্রিয়া জানানোরও কিছু নেই।

উল্লেখ্য, এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৭ সালে জেমস কোমিকে বরখাস্ত করার পর ট্রাম্প গোপনে মস্কোর পক্ষে কাজ করছেন কি না এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি কি না, তা নিয়ে এফবিআই একটি তদন্ত শুরু করেছিল।

এ তদন্তকাজ শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলারের তদন্তের সঙ্গে যোগ হয়েছে।