শনিবার হোয়াইট হাউস থেকে ফিলাডেলফিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প একথা জানান বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
হোয়াইট হাউসের পরবর্তী চিফ অব স্টাফের নাম দু-একদিনের মধ্যেই জানাবেন এবং তাকে অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ হওয়ার আগে কেলি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন।
তার প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছেন, “তিনি একজন মহান মানুষ। আমি তার কাজের তারিফ করি।”
রয়টার্সকে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের শীর্ষ সহযোগী নিক আয়ার্সকে তার চিফ অব স্টাফ করার জন্য কয়েক মাস ধরেই তার সঙ্গে কথা বলছেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট চান আয়ার্স দুই বছরের জন্য তার চিফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করুন, কিন্তু ‘ছোট দুটি বাচ্চা থাকায় পরিবারের কথা বিবেচনা করে’ আয়ার্স চূড়ান্ত কোনো কথা না দিয়ে আগামী বছরের গ্রীষ্ম পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
“দায়িত্ব গ্রহণের শর্তাবলী নিয়ে প্রেসিডেন্ট ও নিক এখনও কাজ করে যাচ্ছেন,” বলেছেন তিনি।
আয়ার্স চলতি মাসেই পেন্সের দপ্তর ও হোয়াইট হাউস ছেড়ে জর্জিয়ায় ফিরে যেতে চেয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত বছর হোয়াইট হাউসের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত মেরিন কোরের জেনারেল কেলিকে চিফ অব স্টাফ করে নিয়ে এসেছিলেন ট্রাম্প, কিন্তু তিনি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কেলির সঙ্গে প্রায়ই বিবাদে জড়িয়ে পড়ছিলেন বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন পরিস্থিতি সম্পর্কে সরাসরি জানে এমন একটি সূত্র।
ট্রাম্প তার মেয়াদের প্রথম বছরেই চিফ অব স্টাফ বদলাতে বাধ্য হয়েছিলেন। নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে রিপাবলিকানদের শোচনীয় পরাজয়ের পর মন্ত্রিসভা ও হোয়াইট হাউসে অদলবদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই কেলির পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।