প্রবেশপথসহ ৫৫ কিলোমিটার লম্বা এ সেতুটি হংকংকে ম্যাকাও ও চীনের মূল ভূখণ্ডের ঝুহাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
২০ বিলিয়ন ডলারে নির্মিত দীর্ঘতম এ সেতুটি খুলে দিতে বেশ কয়েক বছর দেরি হল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মঙ্গলবার ঝুহাইতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শি’র সঙ্গে হংকং ও ম্যাকাওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার থেকে সেতুটি সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
দক্ষিণ চীনের গুরুত্বপূর্ণ তিন উপকূলীয় শহর হংকং, ম্যাকাও ও ঝুহাইকে সংযুক্ত করা সেতুটি ভূমিকম্প ও শক্তিশালী টাইফুনের আঘাতেও দাঁড়িয়ে থাকার উপযোগী করে বানানো হয়েছে। এটি নির্মাণে চাল লাখ টন ইস্পাত লেগেছে, যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার বানানো যেত।
হংকং, ম্যাকাও ও দক্ষিণ চীনের আরও নয়টি শহরকে নিয়ে গ্রেটার বে এলাকা বানানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই চীন সরকার এ সেতুটি নির্মাণের কথা জানিয়েছে। এ পুরো অঞ্চলে প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বাস।
এর আগে ঝুহাই থেকে হংকং যেতে চার ঘণ্টার মতো সময় লাগত। নতুন এ সেতু ওই সময়কে আধা ঘণ্টার নিচে নামিয়ে আনবে।
যারা সেতুটি ব্যবহার করবে তাদের কোটা পদ্ধতিতে দেওয়া বিশেষ অনুমোদন নিতে হবে। সেতু ব্যবহারকারী সব যানবাহনকেই টোল দিতে হবে। সেতুটিতে কোনো রেল সংযোগ রাখা হয়নি।
সামুদ্রিক পরিবেশ বিশেষ করে চীনের বিরল প্রজাতির সাদা ডলফিনের ওপর সেতুটির প্রভাব নিয়ে পরিবেশবিদরা উদ্বিগ্ন।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) হংকং শাখার তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে সমুদ্রের হংকং অংশে এ সাদা ডলফিনের সংখ্যা ১৪৮ থেকে নেমে ৪৭ এ এসে পৌঁছেছে। আর এখন সেতুটির আশপাশের এলাকায় এ প্রাণীটির দেখাই মিলছে না।