ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) থেকে ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে ৬২ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার স্থানান্তরের অভিযোগে বুধবার গ্রেপ্তার হন তিনি।
বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি-বিরোধী কমিশন (এমএসিসি)।
এর আগে গত জুলাইয়ে নাজিবকে গ্রেপ্তার করেছিল এমএসিসি। ওই সময় তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ আরো একাধিক অভিযোগ আনা হয়। নাজিবের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা হয়েছে এবং সেগুলো নিয়ে তদন্ত চলছে।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন নাজিবকে তার ব্যক্তিগত একাউন্টে প্রবেশ করা ৬২ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার কোথা থেকে এসেছে তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে মালয়েশিয়াকে শীর্ষ অর্থনীতির দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে নাজিবই প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ওয়ানএমডিবি তহবিল সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন।
কিন্তু পরে ওই তহবিলের ৭০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে ওই অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। যদিও নাজিব বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০১৫ সালে নাজিব প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মালয়েশিয়ার আদালত তাকে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিল। তখন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, সৌদি আরবের রাজ পরিবার নাজিবকে ব্যক্তিগতভাবে ওই অর্থ দিয়েছে।
কিন্তু গত মে মাসের নির্বাচনে সরকার বদলের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় এসে পুনরায় ওই দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ দেন।
মাস জুড়ে নাজিবের বিভিন্ন বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান দ্রব্য উদ্ধারের পর জুলাইয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।