মিয়ানমারের সামরিক জান্তা আমলে প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দিত্বে কাটানো সু চি মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের একটি অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে সেনাবাহিনী নিয়ে একথা বলেন।
মিয়ানমারে আরেকটি সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করছেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অতটা খারাপ নয়।”
“ভুলে যাবেন না, আমাদের মন্ত্রিসভায় তিন সদস্য আছেন যারা আদতে সামরিক বাহিনীর মানুষ, তারা জেনারেল। আর তারা সবাই মিষ্টি মানুষ।”
তবে সাংবিধানিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর প্রভাব ধীরে ধীরে আরো কমবে বলেও মন্তব্য করেন রাখাইনে সেনা অভিযানের বিরুদ্ধে উচ্চবাচ্য না করে সমালোচিত হওয়া নোবেলজয়ী নেত্রী সু চি।
১৯৬২ সালে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসা সামরিক বাহিনী প্রায় ৫০ বছর ধরে দেশ শাসন করেছে।
২০১০ সালের শেষ দিকে এসে সামরিক শাসকরা ওই সময়কার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী সু চিকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি দেওয়াসহ সংস্কার কার্যক্রম শুরু করে।
২০১৫ সালের নির্বাচনে সু চির দল জয় পাওয়ার পর জেনারেলরা তার সরকারের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে শাসনক্ষমতা থেকে অনেকটাই সরে গেছে।
তবে ২০০৮ সালের সংবিধান অনুযায়ী এখনো দেশটিতে সেনাবাহিনীর অনেক প্রভাব রয়ে গেছে। সংবিধানের আওতায় সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে।
সু চি বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়া ‘এখনো পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি।’