এর মাধ্যমে ফরমুলা ওয়ানের দুনিয়ায় সৌদি নারীদের নতুন যুগের ঘোষণা করলেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আসিল বলেন, “আমার বিশ্বাস আজ আমরা শুধু নারীদের গাড়ি চালানোর সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে নতুন এক যুগের সূচনা হওয়া উদযাপন করছি না, বরং এটা সৌদি নারীদের ফলমুলা ওয়ানের মত খেলায় অংশ গ্রহণের শুরুও বটে।
“আমার কাছে ভবিষ্যতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মকে ফলমুলা ওয়ানে দেখা। আমি চাই তারা এই খেলাটিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে এটিকে তাদের পেশা করুক। এটা সত্যিই আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হতে চলেছে।”
সৌদি আরবের ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং ব্যবসায়ী আসিল রোববারই প্রথম ফরমুলা ওয়ান গাড়ি চালাননি। গত ৫ জুনও আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরবে নারীদের ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’ দেওয়া উদযাপন করতে তিনি ফ্রেঞ্চ গ্র্যান্ড প্রিক্সে গাড়ি চালান, তবে সেটা নিতান্তই পরিচিতজনদের সামনে।
কিন্তু রোববার তিনি ফ্রান্সের গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেনল্টের প্যারেডে অংশ নেন। ফরাসি কোম্পানিটি ১০ বছর পর আবারও ফরমুলা ওয়ানে ফিরেছে।
‘রেসিং ড্রাইভার’ হিসেবে সৌদি নারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অবশ্যই, নিশ্চিতভাবেই তারা আসবে। সৌদি আরবে এখন এটাই আমার মিশন।
“রেনল্টকে ধন্যবাদ, সৌদি আরবে তাদের আরও প্রসারের জন্য সম্ভবত তারা আমাকে তাদের দূত নিয়োগ দেবে বলে আশা করছি।”
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি কর্তৃপক্ষ নারীদের গাড়ি চালনায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। নিবন্ধন পাওয়া নারীরা এ বছরের ২৪ জুন থেকে গাড়ি চালানোর অনুমতি পাবেন বলেও তখন জানিয়েছিল তারা।
ওই ধারাবাহিকতাতেই জুনের প্রথম দিক থেকে নারী চালকদের জন্য লাইসেন্স ইস্যুও শুরু হয়।
গত ৫ জুন সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরের ১০ নারী তাদের বিদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স বদলে সৌদি লাইসেন্স নেন। এরাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া প্রথম সৌদি নারী। এরপর নিয়মিতভাবে লাইসেন্স ইস্যু শুরু হয়।