ট্রাম্পের কর সংস্কারে বাফেটের লাভ ২৯ বিলিয়ন ডলার

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ওয়ারেন বাফেট বলেছেন, ট্রাম্পের কর সংস্কারের কারণে গত বছর তার কোম্পানির ২৯ বিলিয়ন ডলার বেশি লাভ হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2018, 10:03 AM
Updated : 25 Feb 2018, 10:03 AM

শনিবার বাফেটের কোম্পানি বার্কশায়ার হাথাওয়ে তাদের ত্রৈমাসিক ও বাৎসরিক লাভে রেকর্ডের কথা জানিয়েছে বলে খবর বিবিসির।

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর করের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ থেকে নামিয়ে ২১ শতাংশ করতে গত বছরের ডিসেম্বরে রিপাবলিকানদের একটি কর সংস্কার প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে অনুমোদিত হয়।

এ প্রক্রিয়ায় বাফেটের বেশ সুবিধা হলেও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এ ধনী প্রথম থেকেই এমন সংস্কারের বিরোধিতা করে আসছেন।

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে এক চিঠিতে বাফেট লিখেছেন, ২০১৭ জুড়ে কোম্পানির লাভের প্রায় অর্ধেকই এসেছে কর সংস্কারের হাত ধরে।

“বার্কশায়ারে আমরা যা করেছি, লাভের একটি বিরাট অংশ তার জন্য আসেনি। বার্কশায়ারের কার্যক্রমের জন্য আমরা ৩৬ বিলিয়ন ডলার পেয়েছি, বাকি ২৯ বিলিয়ন এসেছে গত বছরের ডিসেম্বরে, যখন মার্কিন কংগ্রেস যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক্স কোড নতুন করে লেখে,” বলেন বাফেট।

বিশ্লেষকরাও এর আগে মার্কিন কর পদ্ধতি সংস্কারে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোরই লাভ হবে বলে ধারণা করেছিলেন।

গত মাসে ব্রিটিশ ব্যাংক বারক্লেসের পূর্বাভাসে বাফেটের কোম্পানি বার্কশায়ার হাথাওয়েই কর সংস্কারের কারণে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছিল।

তারা বলেছিল, প্রথমদিকে কিছুটা পড়তির দিকে থাকলেও পরের দিকে বার্কশায়ারের আয় ক্রমবর্ধমানভাবে ১২ শতাংশ হারে বেড়েছে।

কর সংস্কারে বহুজাতিকদেরই লাভের পাল্লা ভারী, বিভিন্ন সূচকে এমনটা ইঙ্গিত দেওয়া হলেও রিপাবলিকানরা বলছেন অন্য কথা।

তাদের দাবি, কর সংস্কার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।

গত বছরের শেষ দিকে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া এ কর সংস্কারকে অন্যতম বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে ট্রাম্প প্রশাসনও।

একে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কর হ্রাস’ বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

২০২৫ সাল পর্যন্ত মেয়াদ থাকা নতুন এ সংস্কারের ফলে সিংহভাগ করদাতাকে আগের তুলনায় কম কর দিতে হচ্ছে।

অন্যদিকে বাফেট ধনীদের জন্য বেশি কর রাখার পক্ষে; ট্রাম্প প্রশাসনের কর সংস্কারের বদলে বিকল্প কোনো প্রস্তাবকেই পছন্দ করতেন বলেও মন্তব্য এ বিলিয়নেয়ারের।

মালবাহী ট্রেন, প্রধান বীমা কোম্পানি, রিয়েল এস্টেট, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সেবা খাতে বিনিয়োগকারী বহুজাতিক কোম্পানি বার্কশায়ার হাথাওয়ে এবং এর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় তিন লাখ ৬৭ হাজার কর্মচারী কাজ করছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

চার দশক ধরে কোম্পানিটির শীর্ষ পদে আছেন বাফেট, এ কোম্পানি দিয়েই বদলেছেন ভাগ্য।

ফরচুন ম্যাগাজিনের বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় মার্কিন এ ধনকুবেরের অবস্থান তিন নম্বরে। ৮৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়েও তিনি মাইক্রোসফটের বিল গেটস ও আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের পেছনে আছেন।