আম জনতার জন্য এটিই ভারত সরকারের গৃহীত বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প। বৃহস্পতিবার লোকসভায় বাজেট অধিবেশনে এ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
এ প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র পরিবার পিছু প্রয়োজনে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ জোগাবে সরকার। ১০ কোটি পরিবারের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ, অর্থাৎ, জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই এতে উপকৃত হবেন বলে দাবি সরকারের।
পার্লামেন্টে এক ভাষণে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, “এটিই সরকারের অর্থায়নে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি।”
জনকল্যাণে স্বাস্থ্যসেবা চালু করা ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের চিকিৎসার সুবিধায় দেড় লক্ষ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ‘হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’- এ রূপান্তরিত করা হবে।
তাছাড়া, প্রতিটি রাজ্যে অন্তত একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ গড়বে কেন্দ্রীয় সরকার। আর মৌলিক স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেটলি।
বর্তমানে ভারতে জিডিপি’র মাত্র এক শতাংশের সামান্য বেশি অর্থ জনস্বাস্থ্যে ব্যয় হয়। যা বিশ্বে সবচেয়ে কম। সেদিক থেকে সরকারের ঘোষিত নতুন স্বাস্থ্যসেবা বাজেট যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে।
জেটলি বলেছেন, “সরকার ধীরে ধীরে হলেও নিশ্চিতভাবেই সার্বজনীন স্বাস্থ্যপরিষেবা চালুর লক্ষ্য অর্জনের পথে এগুচ্ছে।”