কিমের সঙ্গে অবশ্যই কথা হবে: ট্রাম্প

উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Jan 2018, 04:36 AM
Updated : 7 Jan 2018, 04:36 AM

দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হবে বলেও আশাবাদ তার।

মেরিল্যান্ডের অবকাশযাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে দলের বাৎসরিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শেষে শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প এসব বলেন, খবর রয়টার্সের।

ওয়াশিংটন ও সিউল তাদের যৌথ সামরিক মহড়া স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার  দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় সম্মতি জানায় পিয়ংইয়ং; দুই বছরের অচলাবস্থার পর চলতি সপ্তাহে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, তিনি কিমের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী, তবে পূর্বশর্ত ব্যতিরেকে নয়।

“অবশ্যই আমি কথা বলবো; কথা বলতে আমার কোনো সমস্যা নেই,” বলেন ট্রাম্প।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একের পর এক পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পিয়ংইয়ং।

এ নিয়ে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে কথার লড়াইও চলছে। কিম ট্রাম্পকে ‘ভিমরতিগ্রস্ত বুড়ো’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন; অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তরের শীর্ষ নেতাকে ধারাবাহিকভাবে   ‘রকেট ম্যান’ হিসেবে ডেকে যাচ্ছেন।

বছরের শুরুতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে কিম যুক্তরাষ্ট্রকে ফের হুঁশিয়ার করে বলেন, পারমাণবিক বোমা হামলার বোতাম সবসময়ই তার ডেস্কে থাকে।

পাল্টা উত্তরে ট্রাম্প টুইটারে বলেন, তার ডেস্কে থাকা পারমাণবিক বোমার বোতাম আরও বড়, আরও শক্তিশালী, এবং কার্যকর।

রয়টার্স বলছে, চলতি সপ্তাহে উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে এ বছরের শীতকালীন অলিম্পিকে পিয়ংইয়ংয়ের অংশগ্রহণ এবং দুই কোরিয়ার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে এ অলিম্পিক আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।

ট্রাম্পের ধারণা, দুই কোরিয়ার আলোচনা ওই অঞ্চলে উত্তেজনা কমিয়ে আনবে।

এ আলোচনাকে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের কূটনৈতিক অর্জন হিসেবেই দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বলছেন, আলোচনায় উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে আসা ধারাবাহিক চাপেরই ফসল।

“দেখুন, তারা এখন অলিম্পিক নিয়ে কথা বলছে। এটা শুরু, বড় ধরণের শুরু। যদি আমি এখানে জড়িত না থাকতাম, তাহলে এখন তারা কথা বলত না,” বলেন ট্রাম্প।

উত্তর ও দক্ষিণের আলোচনায় যে কোনো অগ্রগতি মানবতা ও বিশ্বের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।