জেরুজালেম নিয়ে ‘ক্ষোভ দিবস’ পালন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিরা শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেমে ‘ক্ষোভ দিবস’ পালন করেছে।

>>রয়টার্স
Published : 8 Dec 2017, 02:34 PM
Updated : 8 Dec 2017, 02:34 PM

ওদিকে, আরব ও মুসলিম বিশ্ব জুড়েও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে রাস্তায় নেমেছে।

জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে শুক্রবারের জুমার নামাজের পর মুসল্লিরা ওল্ড সিটির প্রবেশপথে জড়ো হয়। তারা ‘জেরুজালেম আমাদের, জেরুজালেম আমাদের রাজধানী’, ‘ফাঁকা বুলি চাই না’, ‘পাথর আর কালাশনিকভ চাই’ বলে স্লোগান দেয়।

ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের নীতি পাল্টে দিয়েছে। জেরুজালেমকে তার দেওয়া স্বীকৃতির বিরুদ্ধে কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ হচ্ছে। যদিও এ পর্যন্ত চলমান সহিংসতা অনেকটাই সীমিত আকারে হয়েছে।

দু’দিন ব্যাপী বিক্ষোভ-সংঘর্ষে শুক্রবার মধ্যদুপুর পর্যন্ত কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে ৩১ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

শুক্রবারের জুমার নামাজের পর পশ্চিম তীরের কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষ শুরু হয়। যদিও আগের দিনের তুলনায় সহিংসতার মাত্রা এদিন কম দেখা গেছে।

হেবরন এবং বেথলেহেমে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে। এর জবাবে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে ইসরায়েল।

গাজায় মসজিদের লাউডস্পিকারে মুসল্লিদেরকে বিক্ষোভে নামার ডাক দেওয়া হয়। এ ডাকে সাড়া দিয়ে বিক্ষোভে নামা তরুণরা প্রধান সড়কগুলোতে টায়ার জ্বালায় এবং ইসরায়েলের সীমান্ত অভিমুখে মিছিল করে।

১৯৮৭-১৯৯৩ এবং ২০০০-২০০৫ সালের ইন্তিফাদার মত নতুন এক ইন্তিফাদা বা গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের দল হামাস।

গাজায় বিক্ষোভ চলার মাঝে হামাসের এক নেতা ফাতি হাম্মাদ বলেন, “দূতাবাস যে-ই জেরুজালেমে স্থানান্তর করুক না কেন সে ফিলিস্তিনের শক্রুতে পরিণত হবে এবং ফিলিস্তিনি দলগুলোর লক্ষ্যবস্তু হবে। আমরা জেরুজালেম এবং সব ফিলিস্তিনির মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ইন্তিফাদা ঘোষণা করছি।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করে আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রসহ ইউরোপ এমনকি জাতিসংঘও।

বুধবার আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে ‘অস্থিরতা কবলিত অঞ্চলটিতে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ’ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানায়।

ফিলিস্তিন বলেছে, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ওয়াশিংটন তার নেতৃস্থানীয় ভূমিকা জলাঞ্জলি দিয়েছে।