ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে দেশটির সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপ প্রধান রেজা সাইফল্লাহি বলেন, “হামলাকারীরা ইরানের কয়েকটি প্রদেশে থেকে আইএসএ যোগ দিয়েছিল।”
বুধবার সকালে আধাঘণ্টার ব্যবধানে ওই দুইটি হামলায় অন্তত ১২জন নিহত এবং আহত হয় বহু মানুষ। আইএস হামলার দায় স্বীকার করে পার্লামেন্টের ভেতরে বন্দুকধারীদের হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, হামলাকারীদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ আরও পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা তৃতীয় আরেকটি হামলার পরিকল্পনা করছিল বলেই বিশ্বাস তাদের।
কঠোর অনুশাসনের শিয়া মুসলিম প্রধান দেশ ইরানে আইএস এর হামলার দায় স্বীকার এটিই প্রথম। আইএস বলেছে, তাদের ৫ যোদ্ধা পার্লামেন্ট এবং মাজারে ঢুকে গুলি এবং গ্রেনেড হামলা চালায়।
আইএসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইরানে শরিয়া আইন চালু না হওয়া পর্যন্ত ‘খিলাফত সেখানকার শিয়া মুসলিমদের রক্ত ঝরানোর একটি সুযোগও ছাড়বে না’।
আইএস শিয়া মুসলিমদেরকে স্বধর্মত্যাগী হিসাবেই দেখে এবং ইরাক ও সিরিয়ায় তারা ইরান-সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে।
এদিকে, ইরানের রেভলুশনারি গার্ড এ হামলার নেপথ্যে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। তারা রক্তাক্ত এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছে।
কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের কূটনৈতিক বিরোধ ও সম্পর্ক ছিন্নের কারণে এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই এ হামলা পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তুলেছে।
সপ্তাহখানেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন। তার এ সফরের পরই সৌদি আরব এবং এর আরও কয়েকটি সুন্নি আরব মিত্রদেশের কাতারকে একঘরে করা এবং তারপর ইরানে হামলা।
স্বাভাবিকভাবেই ওই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সৌদি আরব ও ইরানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন নয়। আর পারস্য উপসাগরে কাতারই ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা একমাত্র দেশ।