শনিবার জায়েদ বেন বেলগাসেম (৩৯) নামের ওই ব্যক্তি অর্লি বিমানবন্দরে টহলরত এক সৈন্যের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন তিনি ‘আল্লাহর জন্য মরতে চান’, এর পরপরই সেখানে উপস্থিত অন্য সৈন্যদের গুলিতে তিনি নিহত হন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারিসের সরকারি কৌঁসুলির দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের সময় করা টক্সিকোলজি পরীক্ষায় বেলগাসেমের রক্তে কোকেন ও গাঁজার নমুনা পাওয়া গেছে।
তার রক্তে ফ্রান্সে গাড়ি চালানোর বৈধ মাত্রার দ্বিগুণ পরিমাণ অ্যালকোহলের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, পুলিশের পর্যবেক্ষণ তালিকায় থাকা এই ব্যক্তি কারাগারে গিয়ে কট্টরপন্থার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
প্যারিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর অর্লিতে যাওয়ার আগে বেলগাসেম প্যারিসের আরেকটি এলাকায় পুলিশকে গুলি করে একটি গাড়ি ছিনতাই করে পালিয়ে এসেছিলেন।
তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র ডাকাতি ও মাদকজনিত অপরাধের রেকর্ড ছিল বলে জানিয়েছেন প্যারিসের সরকারি কৌঁসুলি ফ্রাঁসোয়া মলিন্স।
রোববার ফ্রান্সের রেডিও ইউরোপ ওয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেলগাসেমের বাবা দাবি করেন, তার ছেলে ইসলাম ধর্মের নিয়মকানুন পালন করতো না এবং সে মদ্যপ ছিল।
তিনি বলেন, “আমার ছেলে সন্ত্রাসী না। সে কখনো নামাজ পড়তো না, আর মদপান করতো। কিন্তু মদ ও গাঁজার প্রভাব একজনের জীবন কিভাবে শেষ করে দিতে পারে এ ঘটনা তার প্রমাণ।”
বেলগাসেমের বাবার নাম প্রকাশ করেনি ইউরোপ ওয়ান। শনিবার রাতে পুলিশ হেফাজত থেকে ছাড়া পান তিনি। অপরদিকে বেলগাসেমের ভাই ও চাচাতো ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার রাতে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।