সুইজারল্যান্ডের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী

গত বছর এই তালিকায় সবার উপরে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2024, 04:41 PM
Updated : 9 March 2024, 04:41 PM

কতগুলো দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করা যায় তার উপর ভিত্তি করে কোথাও কোথাও পাসাপোর্টের ক্ষমতা বিচার করা হলেও বিষয়টি আসলে অতটাও সহজ নয়। বরং ভিসামুক্ত ভ্রমণ ছাড়াও করারোপ, বৈশ্বিক উপলব্ধি, দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের সুযোগ এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়গুলোও বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।

উপরের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নোম্যাড পাসপোর্ট ইনডেক্স ২০২৪ সালে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের একটি তালিকা করেছে।

তাদের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের নাম। তারপরই আছে যথাক্রমে আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, লুক্সেমবার্গ ও ফিনল্যান্ডের নাম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট শক্তির বিচারে কয়েক ধাপ নেমে এবার তালিকায় ছয় নম্বরে অবস্থান করছে। নয় ও ১০ নম্বরে যথাক্রমে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তালিকার বেশ নিচের দিকে, ৪৫ নম্বরে।

নোম্যাড পাসপোর্ট ইনডেক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, “বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের কর দেওয়া, স্বাধীনভাবে বসবাস, আইন মেনে চলা বাধ্যবাধকতা এবং ভ্রমণের সময় যাচাই-বাছাইয়ের মত বিষয়গুলো আলাদা আলাদা ভাবে মোকাবেলা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে একজন পাসপোর্টধারী কয়টি দেশে যেতে পারেন তা পুরো চিত্র তুলে ধরে না।”

নরম্যাড ক্যাপিটালিস্টের গবেষক দলের মতে, ভ্রমণ এবং বৈশ্বিক উপলব্ধির ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ডের চেয়ে আয়ারল্যান্ডে ‘কর্পোরেট ট্যাক্স অ্যাডজাস্টমেন্ট’ সামান্য বেশি।

“আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা পর্তুগাল ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ছাড়া আর বাকি সব ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডের সমান নম্বর পেয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ থাকার কারণে ফিনল্যান্ডের পাসপোর্ট বেশ পরিচিত হলেও এটি এখন তালিকায় চার নম্বরে। তবে অবস্থানে সবথেকে বড় পরিবর্তন হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের। গত বছরের তালিকায় দেশটি ১ নম্বরে ছিল।”

কিন্তু নেদারল্যান্ডস, জার্মানি ও নিউ জিল্যান্ডের মত দেশটি এ বছর পিছিয়ে পড়েছে এবং বর্তমানে তালিকায় ছয় নম্বরে। এ পতনের জন্য দেশটির কর নীতিতে পরিবর্তনের কথা বলেছেন গবেষকরা। নতুন কর নীতিতে দেশটির অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশি কোম্পানির মালিকরা প্রভাবিত হয়েছেন।

গবেষকদের মতে বুলগেরিয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। দেশটির পাসপোর্ট দুই বছর আগে তালিকার ৪২ নম্বর থেকে এবার ৩২ নম্বরে উঠে এসেছে। এর মূল কারণ দেশটির ইউরোপের শেনজেন ভিসা অঞ্চলে প্রবেশ। এ মাসের শেষ দিকে বুলগেরিয়ার শেনজেন ভিসা অঞ্চলে প্রবেশ করার কথা।