১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১
‘স্যাজিটেরিয়াস এ*’ নামের ব্ল্যাকহোলটির অবস্থান আমাদের ছায়াপথ মিল্কিওয়ের ঠিক মাঝখানে। আর এখানেই বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন এই জোড়া তারা’র সন্ধান।
দূরবর্তী এই ছায়াপথটিকে ‘ফায়ারফ্লাই স্পার্কল’ নামে বর্ণনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এটি দেখতে অনেকটা নানা রঙের জোনাকির ঝাঁকের মতো বলে দাবি তাদের।
স্যাটেলাইট ছায়াপথ মানে হচ্ছে, ছোট আকারের বিভিন্ন ছায়াপথ, যা একটি বড় আকারের ‘হোস্ট’ ছায়াপথকে প্রদক্ষিণ করে, অনেকটা চাঁদ যেভাবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে তেমন।
প্রচলিতভাবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এসব তারা খুঁজে পেতে জরিপ থেকে যথেষ্ট তথ্য ম্যানুয়ালি ঘেঁটে দেখতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং কাজ।
ছোট আকারের ব্ল্যাক হোলের বিপরীতে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল একেবারে ভিন্ন। ফলে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল সরাসরি কোনো তারা থেকে জন্মাতে পারে না। কারণ, কোনও তারাই এদের তৈরি করার জন্য যথেষ্ট বড় আকারের নয়।
নাসা’র ‘চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি’ ব্যবহার করে গবেষকরা ব্ল্যাক হোল থেকে দূরে থাকা সুপারহিটেড বা অতি উত্তপ্ত গ্যাসের একটি লম্বা চিমনি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
‘সুবারু’ নামের টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশে এমন আরও উপাদান খুঁজে দেখার চেষ্টা করে আসছেন একদল জ্যোতির্বিদ। তবে, এখন পর্যন্ত শুধু আকাশের তিন শতাংশই খোঁজা সম্ভব হয়েছে।