১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
ড্রাইভিং সিটে বসে কথা বলছিলাম পাশের দুই ইন্ডিয়ান সিপাহীর সঙ্গে। গুলি প্রথম এসে লাগে আমার ডান হাতের কনুইয়ে। স্টেনগান হাত থেকে নিচে পড়ে যেতেই আরও কয়েকটি গুলি লাগে তলপেটে।
আমাদের আবেগ-উচ্ছ্বাস সবই দিবসকেন্দ্রিক। বিজয় দিবসেও আমরা উচ্ছ্বাস করব, নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করব কিন্তু বিজয়ের মধ্য দিয়ে যা অর্জন করতে চেয়েছি তা কি অর্জন ও রক্ষা করতে পারছি?
এবার এমন একটি সময়ে জাতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে যখন একাত্তরকে মুছে ফেলার বা বিভ্রান্ত করার নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এমনটা মনে করেন অনেকেই।
পরাজয় তখন অবশ্যম্ভাবী। এটা বুঝতে পেরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে নির্দেশ দেন ডিসেম্বরের ১৪ তারিখের মধ্যে তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে হত্যা করার।
পুলিশ স্মৃতি জাদুঘরেও শহীদ আজিজুর রহমানের পোশাক ও রক্তমাখা চশমাসহ স্মৃতি সংরক্ষণ করা আছে। কিন্তু পুলিশ বা গোয়েন্দা বাহিনীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ হিসেবে সরকারের কোনো তালিকায় বা গেজেটে নাম ওঠেনি তার।
সকাল সাতটার দিকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে অজানা গন্তব্যে। বন্ধ করে দেয়া হয় ট্রেনের দরজা-জানালাগুলো। বগির ভেতর সবাই ভয়ে জড়সড়। কিলোতিনেক চলার পর ট্রেনটি গোলাহাটে এসে থেমে যায়। এরপরই শুরু হয় সেই নারকীয় হত্যার উৎসব।