৩৬ বছর পর ‘জনপ্রিয়তায়’ সিডিকে ছাড়াল ভিনাইল

এই মাইলফলক অর্জনের পাশাপাশি টানা ১৬ বছর ধরে বিক্রি বেড়েছে ভিনাইলের, যার ৭১ শতাংশই নগদ আয়।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2023, 12:16 PM
Updated : 14 March 2023, 12:16 PM

১৯৮৭ সালের পর থেকে অর্থাৎ তিন দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে সিডির তুলনায় বেশি বিক্রি হয়েছে ভিনাইল।

নতুন এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটিতে চার কোটি ১০ লাখেরও বেশি ভিনাইল রেকর্ড বিক্রি থেকে আর্থিক আয়ের পরিমাণ একশ ২০ কোটি ডলারের মতো। এর বিপরীতে, তিন কোটি সিডি’র বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৪৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারের মতো।

লংপ্লে বা এলপি ডিস্ককে এর নির্মাণ উপাদানের নাম অনুসারে ভিনাইলও ডাকা হয়।

বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মাইলফলক অর্জনের পাশাপাশি টানা ১৬ বছর ধরে বিক্রি বেড়েছে ভিনাইলের, যার ৭১ শতাংশই নগদ আয়।

যুক্তরাষ্ট্রে টানা সপ্তম বছর সঙ্গীত খাত থেকে আয় বৃদ্ধি পেলেও এই বছর তা রেকর্ড এক হাজার পাঁচশ ৯০ কোটি ডলার আয়ে পৌঁছায়।

‘রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা’র প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে ২০২২ সালে রেকর্ড করা সঙ্গীতের আয় বেড়েছে ছয় শতাংশ। এর সিংহভাগই এসেছে স্ট্রিমিং সেবা ও ডিস্কের মতো ‘ফিজিক্যাল ফরম্যাট’ বা স্পর্শযোগ্য ফরম্যাটে বিক্রি থেকে।

প্রতিবেদন আরও বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সঙ্গীত খাতে ফিজিক্যাল ফরম্যাট থেকে আয় বাড়লেও ২০২০ সালে কোভিড মহামারীর কারণে ২০২১ সালে ‘যুগান্তকারী এক উত্থান’ দেখতে পায় এই খাত।

সামগ্রিকভাবে গত বছর ফিজিক্যাল ফরম্যাটে সঙ্গীত বিক্রি থেকে আয় বেড়েছে চার শতাংশ। এর পেছনে অবশ্য কাজ করেছে ভিনাইল, যা নিজের বিক্রিতেও ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি তুলে এনেছে। অন্যদিকে, সিডি’র আয় কমেছে ১৮ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজিটাল ডাউনলোডের তুলনায় ভালো কার্যকারিতা দেখিয়েছে সঙ্গীতের ফিজিক্যাল ফরম্যাট। ডিজিটাল ডাউনলোড থেকে আয় ২০ শতাংশ কমে গিয়ে ঠেকেছে সাড়ে ৪৯ কোটি ডলারে।

এর সঙ্গে ডিজিটাল ডাউনলোডের জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থার তুলনায় এটা পুরোপুরী বিপরীত। ২০১২ সালে এই খাতে রেকর্ড ৪৩ শতাংশ আয় এলেও এর পর থেকে ডাউনলোডের সংখ্যা ক্রমাগতই কমে গিয়েছে। আর গত বছর সঙ্গীত খাতের সামগ্রিক আয়ের কেবল তিন শতাংশ এসেছে ডাউনলোড থেকে।

স্ট্রিমিং সেবা থেকে আর্থিক আয়ের মধ্যে রয়েছে আর্থিক ফি’র বিনিময়ে গ্রাহক সেবা, বিজ্ঞাপন সমর্থিত সেবা, ডিজিটাল ও কাস্টমাইজ করা রেডিও, সামাজিক প্ল্যাটফর্ম, ডিজিটাল ফিটনেস অ্যাপ’সহ অন্যান্য সুবিধা। এই খাতের আয় সাত শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে রেকর্ড এক হাজার তিনশ ৩০ কোটি ডলারে। আর এটি সঙ্গীত খাতের সামগ্রিক আয়ের ৮৪ শতাংশ।

গত বছরের ভিনাইল বিক্রি থেকে ইঙ্গিত মেলে, ‘আধুনিক সঙ্গীত বাজারে এটি নিজের ভূমিকা পাকাপোক্ত করছে।’ --মার্কিন অনলাইন সাইট মিডিয়ামের এক পোস্টে বলেন আরআইএএ’র চেয়ারম্যান ও সিইও মিচ গ্লেজিয়ার।

“সঙ্গীতপ্রেমীরা পরিষ্কারভাবেই এমন উচ্চমানের আওয়াজ ও শিল্পীর সঙ্গে অর্থবহ সম্পর্ক তৈরির সুবিধা পাচ্ছেন না, যা ভিনাইল দিতে পারে।” --বলেন গ্লেজিয়ার।

“আর বিভিন্ন লেবেল অবিচ্ছিন্নভাবে এক্সক্লুসিভ, বিশেষ ও সুন্দরভাবে তৈরি প্যাকেজ ও ডিস্কের মাধ্যমে সেই চাহিদা মেটাতে পেরেছে।”